গত কয়েকদিন ধরে নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল কংগ্রেস। মোদী সরকার চায় নির্বাচিত রাজ্য সরকার গুলিকে এক লহমায় চূর্ণ করতে। কিন্তু তা হতে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আজ সোনিয়া গান্ধী সংসদের ভিতরে ও বাইরে সরব হতেই কর্ণাটক ইস্যুতে সংসদ উত্তাল করল বিরোধীরা। দফায় দফায় রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লোকসভাতেও ওয়েলে নেমে ‘ওয়াক আউট’ করল বিরোধীরা। আর গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে কংগ্রসের প্রতিবাদে যোগ দিল তৃণমূলও। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিক্ষোভের পর সভা ছাড়ল ডিএমকে, এনসিপি, আরএসপি, এনসির মতো ইউপিএ’র দলগুলি।
কংগ্রেসকে সমর্থনের প্রসঙ্গে তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এটা এখন আর স্রেফ কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙানোর বিষয়ে আটকে নেই। নির্বাচিত রাজ্য সরকারকেই ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই সমর্থন”। কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের সরকারের অবস্থা টলমল। তবে এই অবস্থার জন্য দায়ী বিজেপি। এমনই অভিযোগ করে তিনদিন ধরে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দিচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু স্পিকার তা গ্রাহ্য করেননি। তাই গতকাল বিক্ষোভ, ওয়াক আউটের পরও আজ ফের একই ইস্যু তোলা হবে ঠিক করেন সোনিয়া। সকালেই দলকে তিনি বলেন, কেবল কর্ণাটক নয়। এরপর ওরা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও একই চেষ্টা করতে পারে। তাই এই ইস্যুতে বিজেপিকে সংসদে জেরবার করতে হবে। বাড়াতে হবে বিরোধীদের সমর্থনও। সেই মতো ডিএমকে, এনসিপি, এনসি, কেরলের আরএসপির মতো ইউপিএ’র দলগুলির পাশাপাশি এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছেও আবেদন করেন কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক কে সুরেশ।
এনআরএস কাণ্ডের ফলে রাজ্যকে তিনটি ‘অ্যাসডভাইসরি’ পাঠিয়েছিল অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। নির্বাচিত সরকারকে কৌশলে অস্থির করার উদ্দেশ্যেই মোদি সরকারের ওটি প্রাথমিক প্রয়াস বলেই টিএমসির দাবি। তারই প্রতিবাদে শামিল হতেই এদিন সোনিয়ার প্রস্তাবে সাড়া দেন টিএমসি এমপিরা। তবে তাঁরা ওয়েলে নামেননি। নিজের আসনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের পাশাপাশি ওয়াক আউট করেন।