একাধিক তুঘলকি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর এবার দেশের ইতিহাস বদলাতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। হ্যাঁ, এবার দেশের এক ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে জায়গা নিতে চলেছে ভারতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা! এই অভাবনীয় এবং বিরল ঘটনা ঘটছে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে দেশের শিক্ষাবিদদের।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বি.এ ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের পাঠক্রমে এই জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। দেখা গেছে, প্রথম ধাপে রয়েছে কংগ্রেস পার্টির জন্ম এবং জওহরলাল নেহরুর উত্থান। তারপর রয়েছে আন্দোলনের কথা। এবং তৃতীয় ধাপেই বিস্তারিতভাবে রয়েছে জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার ফলে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।
বিরোধী এবং শিক্ষাবিদদের অভিযোগ, দেশের ইতিহাসকে বদলে দিতে চাইছে আরএসএস। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস মুখপাত্র শচীন সাওয়ান্ত টুইট করে লেখেন, ‘কোথা থেকে নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভূমিকার তথ্য পেল? এটা অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক একটি শক্তি। যাঁরা ইংরেজদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। এমনকী কখনও তেরঙ্গা ঝান্ডা তুলে ধরেনি স্বাধীনতা দিবসে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বোর্ডের সদস্য সতীশ চাফলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘ইতিহাসের নতুন ধারায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করে তোলা হচ্ছে। সেখানে এ বছর জাতি গড়তে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ভূমিকা বিষযটি অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’ তবে এতেও থামেনি বিতর্ক। উল্লেখ্য, নাগপুরেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর।