কর্ণাটকের গণতান্ত্রিক সরকার ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র রাজনীতির পাশাপাশি চলছে আরও নানা ষড়যন্ত্র। এরই মধ্যে কর্ণাটকের পর এবার গোয়াতেও দল ভাঙানোর কাজ শুরু করে দিল পদ্মশিবির। বুধবার গোয়ায় ১৫ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১০ জনই যোগ দিয়েছেন বিজেপি। বৃহস্পতিবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে তাঁরা দিল্লীতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে তাঁদের দেখা করার কথা আছে। এ নিয়েই এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদীর দল রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী দলের বিধায়কদের লোভ দেখিয়ে দলে টানছে।
বিক্ষোভে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও বাকিদের সঙ্গে স্লোগান দেন, ‘সেভ ডেমোক্রেসি’। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেন, উন্নয়ন ও অন্যান্য ইস্যুতে মন দেওয়ার বদলে বিজেপি রাজ্যে রাজ্যে নির্বাচিত সরকারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে। এইভাবে গণতন্ত্রকে শেষ করাই তাদের উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গোয়ার ভোটে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল। এখন রাজ্যে তাদের মাত্র পাঁচজন বিধায়ক আছেন। গত মাসে তেলঙ্গানাতেও কংগ্রেসের একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। রাজ্যের ১৮ কংগ্রেস বিধায়কের ১২ জন দল ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।