আলিপুর চিড়িয়াখানা রোজ নতুন সাজে সেজে উঠছে। আসছে নতুন নতুন ‘অতিথি’ও। কয়দিন আগেই আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল অ্যানাকোন্ডা। চিড়িয়াখানা সাজানো হবে ভিজ্যুয়াল এফেক্ট দিয়ে এমন প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। এইবার সেই তালিকায় যুক্ত হল শিশির ও নয়ন। এঁরা মানুষ নয়। দুই চিতা। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি থেকে এই দুই চিতাকে নিয়ে এসেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই চিড়িয়াখানায় জন্মেছিল তিনটি সিংহশাবক। তাদেরকেও মাস তিনেকের মধ্যেই খাঁচায় আনা হবে বলে খবর। একই সঙ্গে চলতি মাসেই আরও ৪টি অ্যানাকোন্ডা আসবে দর্শকদের সামনে। সঙ্গে ঢোল এবং আরও একটি বাঘও আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
গতবছর মে মাসে উত্তরবঙ্গের চা বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুই চিতা শাবককে। মঙ্গলবার তাদের শিলিগুড়ির সাফারি পার্ক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। তবে এখনই দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে না শিশির ও নয়নকে। প্রত্যেক নতুন পশুর মতোই এখন কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
আশিসকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “প্রত্যেক নতুন পশুকেই এক্ক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে এলে নতুন জায়গার আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত করতে হয়। নতুন জায়গা ও পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে সময় দিতে হয়। সেই সময়টা আমরা নিয়ে থাকি। এদের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। দুই খুদে চিতাবাঘকেই আমরা নজরে রাখছি। তাদের শরীরের দিকে আমাদের নজর রয়েছে।”
দুই চিতার একটি পুরুষ এবং অপরটি স্ত্রী। পুরুষ চিতার নাম শিশির, স্ত্রী চিতার নাম নয়ন। বেশ অন্যরকমভাবে সেজে উঠছে কলকাতার এই পশুশালাটি। আর শিশু মনে প্রভাব বিস্তারেই এইসব নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।