ক্ষমতায় এসেই শিল্পের পাশাপাশি রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রের আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সরকারের আমলে এখন একাধিক প্রকল্পের সুফল ভোগ করছেন বাংলার কৃষকরা। যার ফলে সুদিন এসেছে তাঁদের। এবার যেমন জানা গেল, রাজ্যের কৃষকদের গড় বার্ষিক আয় এখন প্রায় তিন লক্ষ টাকা। মঙ্গলবারই বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল কৃষি দফতরের বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে কৃষকদের গড় আয় ছিল ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ টাকা। ১৭-’১৮ আর্থিক বছরে তা বেড়ে হয় ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯৩৫ টাকা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এই হিসেব করা হয়েছে। রাজ্যের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের বিভিন্ন তথ্য-সহ পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রী জানান, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৩৪ লক্ষ ৮ হাজার ৩৮২ জন্য কৃষকের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২ শতাংশ কৃষক টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষিতে সাফল্যের জন্য পাঁচবার কেন্দ্রের ‘কৃষি কর্মণ’ পুরস্কার পেয়েছে বাংলা। রাজ্য এতবার পুরস্কার পাওয়ার পর কেন্দ্র এখন এই পুরস্কার দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
গতকাল শ্রম দফতরের বাজেট নিয়ে সরকারপক্ষের তরফে বলা হয়, বাম সরকারের সময় শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ছিল ২২০০ টাকা। ওই সময় ২২ বছর ধরে বেতন বাড়ানো হয়নি। বর্তমান সরকারের সময় তা বেড়ে ৮৭৭৭ টাকা হয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকদের বেতনও অনেক বেড়ে এখন দিনে ১৬৭ টাকা হয়েছে। এখন আসামের থেকে এখানকার চা বাগানের শ্রমিকরা বেশি বেতন ও খাদ্যসামগ্রী পান। নোটবন্দীতে ক্ষতিগ্রস্ত এ রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার যে ‘সমর্থন’ প্রকল্প চালু করেছিল, তাতে ১৮ হাজার ৮৪০ জনকে মোট ৯৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল ৫০ হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের তরফে এ হেন তথ্য দেওয়ার পর মুখে কুলুপ আঁটতে বাধ্য হয় বিরোধীরা।