মৎস্য মারিব খাইব সুখে। এই প্রবাদটা মাছে-ভাতে বাঙালির খুব প্রিয়। নদী-নালা-পুকুরের অভাব নেই এ রাজ্যে। তাই বাঙালির পাতে মাছের টুকরো রোজকার বিষয়। মাছ চাষেও এগিয়ে রয়েছে বাংলা। মৎস্য চাষীদের জন্যও বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। বুধবার জাতীয় মৎস্য চাষী দিবসে সেই সব স্মরণ করিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘আজ জাতীয় মৎস্য চাষী দিবস। গত আট বছরে আমাদের সরকার বাংলার মৎস্যজীবী মানুষের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ২,৫২,০০০ সামুদ্রিক মৎস্য চাষীদের বায়োমেট্রিক আই ডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। ৫৬,৫০০ প্রবীন ও দূর্বল মৎস্যজীবীকে পেনশন দেওয়া হয়েছে’।
মাছ চাষ থেকে মাছের বাণিজ্যিকিকরণ। মীন সংরক্ষণ থেকে রূপালি শস্য নিয়ে গবেষণা। এমন নানান বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। মাছ চাষের জন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার। তাই মাছচাষীদের উৎসাহ দিতে ৮৭৪১.৯৪ টন মাছের খাবার বিনামূল্যে দিয়েছে সরকার। এতে উপকৃত হয়েছেন প্রায় তেরো হাজার মাছ চাষী। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইলিশ মাছের সংরক্ষণ এবং গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে সুলতানপুরে। এর ফলে মাছ চাষে আগ্রহ যেমন বাড়বে পাশাপাশি উপকৃত হবেন মাছচাষীরাও। জাতীয় মৎস্য চাষী দিবসের টুইটে এই সব প্রসঙ্গেই আলোকপাত করেছেন মমতা।