বিধাননগর পুর নিগমের মেয়র সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার নির্দেশ সোমবারই দলকে দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম।এদিন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে ৩৫ জন কাউন্সিলর সেই অনাস্থা প্রস্তাবে সই করলেন। তারপরই সব্যসাচী জানান, মেয়র পদে তিনি ইস্তফা দেবেন না৷ ভোটাভুটির অপেক্ষাতেই থাকবেন৷
১৮ জুলাই বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হচ্ছে৷ মঙ্গলবার বিকেলে মেয়রকে চিঠি পাঠিয়ে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন পুর কমিশনার৷ সেই চিঠি সই করে গ্রহণ করেছেন সব্যসাচী দত্ত৷
এদিন সকালেই মেয়র সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা হয়৷ ৩৫ জন কাউন্সিলর সেই প্রস্তাবে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।কৃষ্ণা চক্রবর্তী যে হেতু পুর নিগমের চেয়ারম্যান, সে হেতু তিনি অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেননি তিনি৷ তাঁর সভাপতিত্বেই অনাস্থার উপরে ভোটাভুটি হবে।
বুধবার বিধাননগরের বোর্ড মিটিং রয়েছে। কিন্তু সেখানে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। পুর আইন ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “চিঠি জমা দেওয়ার পর অন্তত সাত দিন পর বোর্ড মিটিং করতে হয়। পরবর্তী যে প্রক্রিয়া তা কমিশনার এবং যুগ্ম কমিশনার করবেন।”
উল্লেখ্য, বিধাননগরের মোট কাউন্সিলর সংখ্যা ৪১ জন। পুর নির্বাচনে ৩৭টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল। দুটি কংগ্রেস ও দুটি আসন পেয়েছিল বামেরা। পরে এক কংগ্রেস ও এক বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে নাম লেখান। ফলে তৃণমূলের আসন বেড়ে হয় ৩৯। ক্ষমতায় থাকার জন্য ২১টি আসন দরকার।
সব্যসাচীকে বাদ দিলেও বাকি পাঁচ জনের সই এখনও বাকি। এ ব্যাপারে কিছুটা বিদ্রুপের সুরেই বিধাননগরের মেয়র বলেন, “আমি ভাবলাম ৪০ জন সই করবে। ৩৫ জন করল। বাকি পাঁচজন কোথায়?” এদিন ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় মেয়রের কড়া সমালোচনা করে বলেন, মেয়র হিসেবে সব্যসাচী কোনও কাজই করছিলেন না৷ তাঁর উপর এলাকার মানুষ অত্যন্ত অসন্তুষ্ট৷