‘আমাকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। অন্য শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, এমনকী হাসপাতালের সুপারেরও চার্জশিটে নাম নেই। আমার ভাইকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করা হয়েছে। আমাকেও খুন করা হতে পারে।’ সোমবার শহরে এসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবেই যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন গোরখপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সাসপেন্ড হওয়া শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কাফিল খান।
সোমবার ইউনিভার্সাল হেলথের দাবিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন গোরক্ষপুরে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মুখে পড়া শিশুদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসা এই চিকিৎসক। তিনি জানান, খোদ দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সরকার আমার সাসপেনশনের সময়ের বকেয়া মেটাচ্ছে না। যার পরিমাণ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। কাফিল বলেন, উত্তরপ্রদেশ হাইকোর্ট ৭ মার্চ এক নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছিল, ৯০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জুনের মধ্যে ওই তদন্ত শেষ করতে হবে। ১০ মে দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আমার সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। কিন্তু, না আমার সাসপেনশন উঠেছে, না বকেয়া ফেরত দেওয়া হয়েছে।
নিজের নেওয়া কর্মসূচী নিয়ে কাফিল জানান, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে তাঁরা হেলথ ফর অল শীর্ষক একটি কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। যার প্রধান ১০টি উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দেশের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের তিন শতাংশ করা, স্বাস্থ্য বাজেটের পরিমাণ আগামী পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছর ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা করা, আশাকর্মীদের মাসিক ভাতা ২০ হাজার এবং অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের ভাতা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করা, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জিএসটি’র পরিমাণ ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করা ইত্যাদি।