এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত নেতা বিকাশ সিংহকে পাশে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার এবং মনোনয়ন পেশ করায় অসন্তোষ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে নিয়ে। তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে দাবি করে পোস্টারও দিয়েছিল ক্ষুব্ধ বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এবার ফের পোস্টার পড়ল বসিরহাটের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, দলের নির্বাচনী খরচ বাবদ প্রাপ্য ২ কোটি টাকা থেকে কাটমানি খাওয়ার। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপির সায়ন্তন বসুর স্বীকারোক্তি, লোকসভা ভোটে টাকা পেয়েছি ২ কোটির বেশি। তবে কেন টাকা পাননি বুথকর্মীরা? সায়ন্তন বসু, গণেশ ঘোষ, দুলাল রায়, ভবতোষ সরকার, সঞ্জীব সরকার–সহ আরও অনেকে নিয়েছেন কাটমানি। ভাগ পেয়েছেন রাজ্যনেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কর্মীবৃন্দ।’ এই পোস্টার বসিরহাট শহরের সর্বত্র লাগানো হয়েছে। আর খোদ বিজেপি কর্মীদের নামে পড়া এই পোস্টার ঘিরে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
বিজেপির এক গোষ্ঠীর অভিযোগ, বসিরহাট লোকসভার প্রার্থী তথা বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য দলের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ২ কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন। সেই টাকার অধিকাংশ নির্বাচনের কাজে খরচ না করে জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়–সহ কয়েকজন নেতার পকেটে ঢুকেছে। টাকা বুথকর্মী পর্যন্ত পৌঁছয়নি। তার কোনও হিসাবও পেশ করা হয়নি।
আবার, বসিরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওযার্ডের বিজেপির কাউন্সিলর তপন দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছেন তিনি। বিজেপির বুথ সভাপতি রণজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘উপভোক্তাদের ব্যাঙ্কের পাশবই, আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড নিয়ে রাখা হয়েছে। তপনকে কাটমানি দিতে না পারায় অনেকে ঘর পাননি।’ স্বাভাবিকভাবেই এই সকল কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।