সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আর সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দিল্লীর মসনদে সরকার গড়েছেন মোদী। তবে বিজেপি সরকারের আয়-ব্যয় নিয়ে সন্দিহান ছিল সাধারণ মানুষের মনে। এইবার সেই আয়-ব্যয়ের হিসেবের একটা আভাস পাওয়া গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের কিছু তথ্য থেকে।
এইদিন মানস ভুঁইয়া, মালা রায় প্রমুখ তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের পাশে নিয়ে ডেরেক বলেন, ‘নোটবন্দির পরে বিজেপির আয় ৮০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ৫৭০ কোটিটা বেড়ে হয়ে গেছে ১০৪০ কোটি টাকা। বিজেপি দেশের সবচেয়ে ধনী পার্টি। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ৪২৭৬ কোটি টাকা। কোনো কর্পোরেড ডোনেশানের প্রায় ৯৫ শতাংশ টাকা বিজেপিতে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার ৮০ শতাংশ বিজ্ঞাপনই বিজেপির ও তাঁদের শরিক দলের পক্ষ থেকে আসে।’
শুধু এখানে না থেমে থেকে তিনি আরও জানান, ‘২০১৮ সালে এফসিআরএ বা ফরেন কন্ট্রিবিউসান রেগুলেশন আইন বিল নিয়ে এসেছিল সরকার। এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি লগ্নিকরণ করা যেতে পারে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তো কোনো বিদেশি লগ্নিকরণ পায় নি।’
তিনি এটাও জানান,’বিজেপি যে অর্থ ব্যবহার করেছে তা কালো টাকা।’ তিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানতে চেয়েছেন যে তাঁরা কোন খাতে কি টাকা পেয়েছে বা কে দিয়েছে তার বিস্তারিত জানাক।
এছাড়াও শেষে তিনি সংযোজন করেন, ‘অর্থ বিলে প্রথমে একটি নিয়ম ছিল। কোন কোম্পানির ৭.৫ শতাংশ লাভের পরিমাণ ছিল তার ওপর অর্থ দিতে পারত না কোনো রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু বর্তমান সরকার এই ৭.৫ শতাংশের যে বাউন্ডেশন ছিল সেটাও তুলে দিয়েছে বর্তমান সরকার।’ এইভাবেই একের পর এক তথ্য দিয়ে মানুষকে সত্যের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।