প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে বই থেকে দিন দিন মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন মানুষজন। কারণ, এখন এক ক্লিকেই মুঠোফোনে গোটা বই চলে আসে। পাতা উলটে কিংবা বালিশে হেলান দিয়ে বইয়ের গন্ধ নিয়ে বই পড়তে মানুষ ভুলে যাচ্ছে। রাত জেগে অল্প আলোয় বই লুকিয়ে বই পড়ার অভিজ্ঞতা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মধ্যেও নেই৷ ফেসবুক, টুইটারের যুগে ধৈর্য ধরে বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাতিক্রমী এক উদাহরণ তৈরি করেছে মহারাষ্ট্রের গ্রাম ভিল্লার।
এই গ্রামের পরিচয় ‘পুস্তকান্ছে গাঁও’ বা ‘গ্রন্থাগ্রারের গ্রাম’ হিসাবে। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই একটি করে গ্রন্থাগার রয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ যখন খুশি গিয়ে বই পড়তে বসতে পারেন। বিনোদ তাওড়ে নামে এক ব্যক্তি এই বিষয়টি গ্রামে প্রথমবারের জন্য এনেছিলেন। লন্ডনের একটি গ্রামে প্রতি বাড়িতে গ্রন্থাগার দেখেছিলেন তিনি। আর সেটাই ভারতে চালু করতে বেছে নিয়েছিলেন নিজের গ্রামকে।
গ্রামের এক বাসিন্দা জানাচ্ছেন, “এখন সকলেই মন দিয়েছেন ফোনে। সারাদিন গেম বা ফেসবুক, এতেই মজে রয়েছে মানুষ। তার মধ্যে এই গ্রামটি যেন একটি মরুদ্যান”। গ্রামের মোট তিরিশটি বাড়িতে নানা ধরণের বই সাজিয়ে রাখা আছে। সময় নিরপেক্ষ এই গ্রন্থাগারগুলিতে যখন খুশি পড়াশোনা করা যায়। পড়াশোনা করতে পারবেন যতক্ষণ খুশি।