উচ্চ শিক্ষার্থী পড়ুয়াদের টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় মাববসম্পদ মন্ত্রক। একই সঙ্গে এই দুই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মন্ত্রকের নিজস্ব টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এই ফতোয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ছড়িয়েছে সন্দেহ, ক্ষোভ। অনেকে এটাকে ছাত্রছাত্রীদের ওপর নজরদারি করার কৌশল বলে মনে করছেন। সরকারের এই প্রচেষ্টাকে ‘মারাত্মক’ আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষাবিদদের একাংশও।
দেশের সমস্ত সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে একজন ‘সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাম্পিয়ন’ নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক অথবা অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে থেকে কাউকে এই দায়িত্ব দিতে হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির উপরেই থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার দায়িত্ব। এরপরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি মানবসম্পদ মন্ত্রকের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বলে সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সদর্থক খবর প্রকাশ করার দায়িত্বও নিতে হবে তার সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাম্পিয়নকে। সেই সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও এমন সংবাদ রিটুইট করতে হবে বলে সরকারি নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তা ভয়াবহ। ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টকে সরকারের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা হলে আরও বেশি নজরদারি করবে সরকার। এর ফলে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। সাধারণ মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করে ফ্যাসিবাদকে মজবুত করতে চাইছে মোদী সরকার।