গতকাল নির্দল নেতা এইচ নাগেশ কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে। এছাড়াও অনেক কংগ্রেস নেতা দলবদল করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যার পর থেকেই কর্নাটকের পরিস্থিতি চরমে। এবার কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অভিযোগ করেন, এমন অস্থিরতা তৈরির পিছনে হাত রয়েছে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর। তাঁদের প্ররোচনাতেই সেখানে সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র এবং মানুষের রায়ের বিরুদ্ধাচার করছে তাঁরা।
এদিন সিদ্দারামাইয়া আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন যে, “টাকা, ক্ষমতা, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিজেপি ভাঙন ধরাচ্ছে সরকারে।” বিজেপির এমন পদক্ষেপ যে নতুন নয় তা মনে করিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, “সরকারকে এভাবে পঙ্গু করা অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। তাদের থেকে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট বেশি শতাংশ মানুষের রায়ে সরকারে এসেছে।” স্পিকারের কাছে তিনি অনুরোধ জানান, দলত্যাগ-বিরোধী আইন এনে কড়া পদক্ষেপ করা হোক। এমনকি ৬ বছর ভোটে লড়ার থেকে নির্বাসিত করা হোক অভিযুক্তদের।
রবিবার জোট সরকারের ১১ জন বিধায়ক ইস্তফা দিতে যান স্পিকারের সচিবালয়ে। সে সময় স্পিকার ছুটিতে ছিলেন। আজই ওই বিধায়কের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখবেন স্পিকার। প্রত্যেককে ডেকে জানা হবে তাঁদের বলপূর্বক ইস্তফা দেওয়ানো হচ্ছে কিনা নাকি নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি সন্তোষজনক উত্তর বিধায়কদের কাছ থেকে পান, তাহলে তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন স্পিকার। সেক্ষেত্রে, কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের আসন সংখ্যা বিজেপির থেকেও কমে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে তারা।