২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে দেশে আচ্ছে দিন আনার স্বপ্ন, ‘বিকাশ’-এর স্বপ্ন ফেরি করেই দিল্লীর কুর্সিতে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল তাঁর দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি ছিল আদতে এক একটা জুমলা। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ফ্যাক্টচেকার ডট ইন’ নামে এক সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছিল আগের পাঁচ বছরে মোদী তাঁর সরকারের জনগণের জন্য যে যে কাজ করার দাবি তুলেছে বা যে সাফল্যের খতিয়ান দিয়েছে, তাঁর অধিকাংশই মিথ্যে!
প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি সরকারের দাবি ছিল, তাঁদের সরকারের আমলে দেশের ৯৫ শতাংশ গ্রামের পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছেছে। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, মোদী সরকারের আমলে এখনও এমন অনেক পরিবার রয়েছে, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার তালিকায় যাঁদের নাম থাকলেও, আদতে তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। তবে শুধু বাড়িই নয়। এখনও বহু বিদ্যালয়েই পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ পরিষেবা। এবং এবার এ কথা জানিয়েছে খোদ মোদী সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
হ্যাঁ, মোদী সরকার যখন বাড়ি বাড়ি বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়ার গল্প শোনাচ্ছেন দেশবাসীকে, তখন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক (এইচআরডি)-এর রিপোর্ট বলছে, বাড়ি-বাড়ি তো দূরঅস্ত, ভারতের সব স্কুলে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এইচআরডি-র তথ্য অনুযায়ী, এখনও দেশের ৩৬ শতাংশ স্কুল বিদ্যুত্হীন! সম্প্রতি, লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই পরিসংখ্যান পেশ করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল নিশাঙ্ক।
ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন রিপোর্ট (২০১৭-১৮)-এর উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ৬৩.১৪ শতাংশ স্কুলে বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। যার অর্থ, প্রায় ৩৬ শতাংশ স্কুলের পড়ুয়াদের ভরা গ্রীষ্মে চরম দুর্ভোগ পোয়াতে হয়।স্বাভাবিকভাবেই এই তথ্য এবার প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর সমালোচনা। যার ফলে আবারও নতুন করে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকার।