বিলগ্নীকরণ বন্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাঁচানো-সহ একাধিক দাবিতে সরব তৃণমূল। সোমবার সকালেই সংসদের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা। তাঁদের বুকে ঝোলানো পোস্টারে লেখা ছিল, ‘বিলগ্নীকরণ বন্ধ কর’, ‘শিল্প বাঁচাও শ্রমিক বাঁচাও’, ’৪২ টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বাঁচাও’। তবে শুধু সংসদেই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতায় চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করল তৃণমূল। সোমবার ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণ করা নিয়ে তাঁর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেট পেশের পর দেখা গেছে, ভারতীয় রেলকে চতুরতার সঙ্গে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা-সহ দেশের মোট ৪২টি কারখানাকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। যার ফলে শ্রমিক ইউনিয়নগুলি আন্দোলনে নেমে পড়েছে। এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকেও কারখানার গেটের বাইরে বিক্ষোভের পাশাপাশি কারখানা কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে তৃণমূল।’ তাঁর বক্তব্য, সরকারি সংস্থাগুলি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়াই মোদী সরকারের উদ্দেশ্য। এর ফলে বহু মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তৃণমূল বরাবরই কেন্দ্রের নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে এসেছে। এবারও করবে।