পোস্তার নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার ৩ বছর পর অবশেষে সেই ব্রিজের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সোমবার ৮ জুলাই রাত ৮ টা থেকে ওই সেতু ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করবে পুরসভা। তবে পুরো ব্রিজ ভাঙা হবে না। বিপদজ্জনক অংশই ভাঙা হবে বলে জানা গেছে নবান্ন সূত্রে।
২০১৬ সালের ৩১ মার্চ বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ে পোস্তার নির্মীয়মাণ বিবেকানন্দ সেতু। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৮০ জন ওর বেশি মানুষ আহত হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় একের পর এক লাশ। কেউ অফিস যাচ্ছিলেন, কেউ বা যাচ্ছিল স্কুল কলেজে। আচমকাই মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়েছিল তাঁদের সকলের। নিমেষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য তাজা প্রাণ।
১ এপ্রিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে এই উড়ালপুলের নির্মাণ সংস্থা আইভিআরসিএল-এর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পুলিশ কলকাতায় ৫ জনকে এবং হায়দরাবাদ থেকে ২ জন আইভিআরসিএল কর্মকর্তাকে আটক করে। কলকাতায় আইভিআরসিএল-এর স্থানীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পোস্তা উড়ালপুলের দুর্ঘটনার পর নবান্নের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। খড়গপুর আইআইটির তিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও রাজ্যের তৎকালীন মুখ্য সচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন সেই তদন্ত কমিটিতে। দীর্ঘ সমীক্ষার পর এই কমিটি জানায় যে ওই স্থানে উড়ালপুল রাখা আশঙ্কাজনক হয়ে যাবে। পাশাপাশি তাঁরা এও বলেন যে, নতুন করে ওই অংশে ব্রিজ নির্মাণ করাও বিপজ্জনক। ওই রিপোর্টে পরিষ্কার ভাবে বলা হয় ভুল নকশা আর গুণগত মান যাচাইয়ের অভাবেই ভেঙে পড়েছে পোস্তা উড়ালপুল।