এবার আর তৃণমূলের কোনও নেতা-কর্মীকে নয়, নিজের স্ত্রীকেই খুন করে বসলেন গেরুয়া শিবিরের এক নেতা! ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। গতকাল ভোররাতে যুবমোর্চার নেতা রাহুল সিংয়ের গাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর স্ত্রীয়ের গুলিবিদ্ধ দেহ। রাহুলের যদিও দোষস্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁদের গাড়ি আটকে নাকি ডাকাতির চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। তাতে বাধা দেওয়ায় তাঁর স্ত্রীকে খুন করা হয়। তবে রাহুলের শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, পণের জন্যই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে রাহুল।
বিজেপির যুবনেতার বয়ান, শনিবার রাত তিনটে নাগাদ স্ত্রী স্নেহলতাকে নিয়ে তিনি বরাবাঁকির একটি গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের গাড়ি আটকে সঙ্গের জিনিসপত্র লুঠ করার চেষ্টা করে। স্নেহলতা বাধা দিলে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু স্নেহলতার বাড়ির লোক এ দাবি মানতে নারাজ। ইতিমধ্যেই তাঁরা ফতেপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। স্নেহলতার বাবা রাজকুমারের অভিযোগ, পণের জন্য রাহুলই তাঁর মেয়েকে খুন করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই পণের জন্য হুমকি দিচ্ছিলেন রাহুল।
রাজকুমারের দাবি, তাঁর মেয়ে মেয়ো মেডিক্যাল কলেজে পড়িয়ে মাসে ২৮,০০০ টাকা বেতন পেতেন। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সুরাটগঞ্জের প্রভাবশালী পরিবারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরই গাড়ি কেনার জন্য স্নেহলতার ওপর চাপ দিতে থাকে রাহুল। রাজকুমারের প্রশ্ন, ‘রাত তিনটের সময় ও আমার মেয়েকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিল কেন? আর আমাদের এত পরে খবর দেওয়া হল কেন?’ অন্যদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পর, রাহুল-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে জোরদার তদন্তও। দোষ প্রমাণ হলে যে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে ওই বিজেপি নেতাকে, তা বলাই বাহুল্য।