কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের অর্ধেক অংশে এ বার থেকে চিকিৎসা পাবেন সাধারণ মানুষও। এসএসকেএমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে পুলিশ হাসপাতালের ওই অংশ সোমবার ‘সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ’ দিবস উপলক্ষ্যে হরিশ মুখার্জি রোড এবং বেণীনন্দন স্ট্রিটের সংযোগস্থলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি ৫০ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে পুলিশ কর্মীদের জন্য।
সোমবার ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের এই উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে কলকাতায় দুর্ঘটনা কমেছে ৩৫ শতাংশ। কমেছে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। রাজ্যেও দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু অনেকটাই কমেছে’।
এ দিন বেণীনন্দন স্ট্রিটের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রাফিক পুলিশকর্মী তপন ওরাঁওকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তপনের হাতে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন। সেখানে কলকাতার নগরপাল-সহ উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পুলিশকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন তপনের সঙ্গে দেখা করে তপনের সাহসের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশকে এ ভাবেই সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে’। এরপর তিনি সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের অনুষ্ঠানে তপনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘নাকা চেকিংয়ে গাঁজা ড্রাগসের মত জিনিসও ধরা পড়ছে। রাতের কলকাতায় বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হবে’। তিনি জানান, এই বিশেষ পুলিশি অভিযান চলবে। রাজ্য পুলিশ এলাকাতেও এ রকম নাকা চেকিং করা হবে বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকারের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখে ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড সরকার পথনিরাপত্তা নিয়ে সরকারি প্রকল্প শুরু করেছে।’
এ দিন কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে ৩০০ মোটরবাইকের একটি মিছিল কলকাতা প্রদক্ষিণ করবে। পথনিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই মিছিল। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘আমরা অনেক সময় পুলিশের সমালোচনা করি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রোদ ঝড় জলে দাঁড়িয়ে ওরা কাজ করেন’।
