সেমিফাইনালে যাওয়ার অঙ্কে যখন আচমকাই ‘অখন্ড ভারত’-এর দেখা মিলেছিল তেমন সময়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যায় ভারত। পাকিস্তানের প্রায় সব খেলোয়াড়রাই ঘুরিয়ে বলেছিলেন ইচ্ছে করেই হেরে গেছে ভারত। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দেশে ফিরে পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ জানালেন ভারতকে অকারণ দোষারোপ করার কোনও মানে নেই।
বিশ্বকাপ অভিযান সেরে শনিবার বেশি রাতে দেশে ফিরে পাক অধিনায়ক সরফরাজ় আহমেদ জানিয়ে দিলেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে হেরেছে ভারত— এ কথা বলা বন্ধ হোক। রবিবার, করাচিতে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে সরফরাজ় আরও জানান, ইংল্যান্ডের কাছে ভারত হারায় পাকিস্তান সেমিফাইনালে যেতে পারেনি, এ কথা তিনি বিশ্বাস করেন না। আর পাকিস্তান সেমিফাইনালে যেতে পারেনি বলে বিরাট কোহলির দলকে দোষারোপ করা বন্ধ হোক।
যদিও পাকিস্তানের অনেক প্রাক্তনই ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের হারের পরে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। তাঁরা বলেছিলেন, পাকিস্তানের সেমিফাইনাল যাওয়া আটকাতেই নাকি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেদের সেরাটা না দিয়ে হেরেছে। বিশ্বকাপে ন’ম্যাচের পরে নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় সেমিফাইনালে চলে যায় কেন উইলিয়ামসনের নিউজ়িল্যান্ড।
দেশে ফেরার পরে সাংবাদিক সম্মেলনেও উঠে আসে এই প্রসঙ্গ তোলা। যে প্রশ্ন শুনেই সরফরাজ় বলে দেন, ‘‘না, না। এটা বলা ঠিক নয়। আমি মনে করি না, ভারত বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে আমাদের সেমিফাইনালে ওঠা আটকাতে। বরং ইংল্যান্ড সে দিন ভাল খেলে ভারতকে হারিয়েছিল।’’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তান যেতে না পারায় দেশের মানুষের চোখে জল। আমাদেরও মন খারাপ। এর মূল কারণ প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ১০৫ রানে অলআউট হওয়া। তার পরে ছন্দে ফিরেছিলাম। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। তার পরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার। এই পর্যায়েই অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিলাম আমরা।’’
পাক অধিনায়ক আরও বলেন, ‘‘এর পরেই দু’দিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিল দল। তার পরে দলের সকলের সঙ্গে বসে নিজেদের ভুলত্রুটি নিয়ে আলোচনা করি আমরা। তার পরেই শেষ চার ম্যাচে জেতার জন্য ঝাঁপাই আমরা। এই পর্যায়ে নিখুঁত ক্রিকেট খেলেছে দলের সবাই।’’
একই সঙ্গে সরফরাজ় বলতে ভোলেননি, ‘‘শুরুতে দলের পারফরম্যান্স আশাজনক না হলেও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মুখ্য নির্বাচক ইনজ়ামাম-উল-হক বা কোচ মিকি আর্থার কোনও চাপ দেননি”।
বাংলাদেশ ম্যাচের পর প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকেরা সরফরাজকে বিপক্ষ দল সম্পর্কে প্রশ্ন করতে গিয়ে ‘বেঙ্গলিস’ নামক একটি শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। যা শুনে সরফরাজ ওই সাংবাদিককে বলেছিলেন “এই শব্দটা ব্যবহার করবেন না। আপনার ব্যবহার করা করা এই শব্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ইস্যু তৈরি করতে পারে। ওদের বাংলাদেশ বলে ডাকুন। আপনি আপত্তিকর শব্দ তৈরি করছেন”।