লোকসভা ভোটের বহু আগে থেকে সন্ত্রাসের যে পথ নিয়েছিল গেরুয়া শিবির, ভোটপর্ব সম্পন্ন হওয়ার এতদিন পরেও সেই পথেই হাঁটছে বিজেপি। এখনও প্রত্যেক দিন বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। এবার
তৃণমূলের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি দলীয় পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ উঠল বিজেপি–র বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরশুড়ার ভেউটিয়া গ্রামে। ঘটনার সময় বোমাবাজি হয় বলেও সূত্রের খবর।
গ্রামের রাস্তার ধারে তৃণমূলের একটি অস্থায়ী কার্যালয় ছিল। বাঁশের তৈরি ওই কার্যালয় থেকে এলাকার তৃণমূল কর্মীরা দলীয় কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা আজিম মল্লিক। তিনি বলেন, ‘শনিবার রাতে এলাকায় বোমা ফাটার শব্দ হয়। সকালে দেখি রাস্তার ধারে আমাদের ওই অস্থায়ী কার্যালয়টি কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দলের পতাকাগুলোও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকালবেলা বাচ্চারা বুঝতে না পেরে সকেট বোমা নিয়ে খেলা করছিল। ফেটে গেলে বিপদ হতে পারত। বাচ্চাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুরশুড়া থানায়।’
পুলিশ এসে ওই বোমাটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে। আজিম মল্লিকের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই ওরা এলাকায় নোংরামি করে চলেছে। বিধানসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় ১৬০ জন নেতা–কর্মী। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের মলয়পুর অঞ্চলে। জানা গেছে, এদিন আরামবাগের কেশবপুর থেকে মলয়পুর পর্যন্ত তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা, পুরপ্রধান স্বপন নন্দী, আইএনটিটিইউসি নেতা শেখ নিয়াজুল প্রমুখ। সেই কর্মসূচিতে স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত ঘোড়ুইয়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সাংসদ, বিধায়ক ও পুরপ্রধান।