একই বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরি করার রেকর্ড ছিল সঙ্গকারার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেই যা ছুঁয়ে ফেলেন ভারতীয় ওপেনার। এ দিন পঞ্চম সেঞ্চুরি করে নতুন রেকর্ডের মালিক রোহিত।
হিটম্যান রোহিত জানাচ্ছেন, ”প্রত্যেক দিন সকালে উঠে ভাবি, আজ আমার প্রথম ম্যাচ। এত দিন কোনও সেঞ্চুরি করতে পারিনি, কোনও হাফসেঞ্চুরিও নেই। আজই সেই দিন। নিজের সেরাটা দেব। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচেও সেটা মাথায় রেখেই নেমেছিলাম”।
‘‘রেকর্ড গড়ার জন্য বিশ্বকাপ খেলতে আসিনি। আমার পরিকল্পনা একটাই। ভাল ব্যাট করে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ভারতকে জেতানো। পিচের মাঝে যতক্ষণ থাকি চেষ্টা করি, প্রত্যেকটি শট যেন ঠিক মতো টাইমিং করা যায়। আগের মতো তাড়াহুড়ো করা বন্ধ করে দিয়েছি। আগে প্রচুর ভুল করেছি। সেখান থেকেই শিক্ষা নিয়েছি। আর যা-ই হোক শুরুতে তাড়াহুড়ো করা চলবে না।’’ এমনই জানালেন শর্মা৷
এ দিনই বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ খেললেন লাসিথ মালিঙ্গা। যিনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিতের সতীর্থ। যদিও এ দিন ১০ ওভারে ৮১ রান দেন তিনি। তবু রোহিতের চোখে এখনও তিনি ভয়ঙ্কর বোলার। রোহিত বলে গেলেন, ‘‘যে রকমই বল করুক না কেন, মালিঙ্গা আমার কাছে চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই জায়গা করে নেবে। সত্যি একজন ‘ম্যাচউইনার’। যখনই ওকে দায়িত্ব দিয়েছি, আমার জন্য ম্যাচ জিতিয়েছে।’’ রোহিতের দুরন্ত ইনিংসে মুগ্ধ সচিন তেন্ডুলকর থেকে বীরেন্দ্র সহবাগ। এ দিন ‘মাস্টার ব্লাস্টার’-কেও ছুঁয়ে ফেললেন রোহিত। বিশ্বকাপে সচিনেরও মোট ছ’টি সেঞ্চুরি রয়েছে। সচিনের টুইট, ‘‘টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি। সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে পাঁচটি সেঞ্চুরি। দু’টি ম্যাচ বাকি থাকতে এমন রেকর্ড সত্যি অসাধারণ। একই সঙ্গে কে এল রাহুলকে দেখেও মুগ্ধ। প্রত্যেক ম্যাচে শুরুটা ভাল করলেও সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারছিল না। এ দিন ওকে রান পেতে দেখে ভাল লাগছে। সেমিফাইনালের আগে এটা ভাল সঙ্কেত।’’ বীরেন্দ্র সহবাগের টুইট, ‘‘আমাদের রক্তে যেমন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে, তেমনই বিশ্বকাপে রোহিতের সেঞ্চুরির মাত্রা বেড়েই চলেছে। অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছে ও। রাহুলের ব্যাটিংয়েও আমি মুগ্ধ। শেষ চারে আরও ভাল কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে।’’