দিনকয়েক আগেই লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি জানিয়েছিলেন, সদ্য প্রকাশিত ২০১৭-১৮-র শ্রমিকদের সমীক্ষা বা ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ অনুযায়ী, শহর এবং গ্রামে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সংখ্যালঘুদের বেকারির হার অনেক বেশি। এই তথ্য থেকেই ইঙ্গিত মিলেছিল যে, দেশের সংখ্যালঘুদের ‘বিকাশ’-এ আদৌ উদ্যোগী নয় মোদী সরকার। এবার দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে তা-ই আরও জোরাল ভাবে ফুটে উঠল। দেখা গেল, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের বাজেটে এক পয়সাও বাড়তি বরাদ্দ হল না। উল্টে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমিকের আগে ও পরের স্কলারশিপের বরাদ্দ অর্থ কমল! সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে গিয়ে পড়ার জন্য ঋণে সুদে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দও কমে গেল।
সামগ্রিক ভাবে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ আগের বছরের মতোই ৪,৭০০ কোটি টাকা রয়েছে। কিন্তু প্রাক-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষায় স্কলারশিপের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ১,৭৬৯ কোটি টাকা থেকে কমে হয়েছে ১,৫১৬ কোটি টাকা। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষার মাধ্যমেই সংখ্যালঘুদের সামাজিক উন্নতির চেষ্টা হবে। তার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুদের শিক্ষার উন্নয়নের খাতে বরাদ্দ ২,৪৫১ কোটি টাকা থেকে কমে ২,৩৬২ কোটি টাকা হয়েছে। আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার আগেই মোদী বলেছিলেন, সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জন করতে হবে। ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর সঙ্গে তাঁর নতুন মন্ত্র ছিল ‘সবকা বিশ্বাস’। কিন্তু দ্বিতীয় মোদী সরকারের বাজেটে অন্তত তার কোনও প্রতিফলন দেখা গেল না।