আত্মঘাতী মেয়ের আত্মা নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে আশেপাশে। সেই অভিশাপ কাটাতেই আত্মীয়র তিন বছরের ছেলেকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করেছে অসমের এক পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, এমন গুরুতর অভিযোগ উঠেছে অসমের ওদালগুড়ি জেলার কলাইগাঁওয়ে। যে পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে সেই পরিবারের একজন আবার পেশায় বিজ্ঞানের শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম যাদব শহরিয়া। অসমের রৌতার লালবাহাদুর শাস্ত্রী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক সে। এই নরবলির ঘটনার মূল পাণ্ডাও এই যাদবই। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজ্ঞানের শিক্ষক যাদব শহরিয়া, তাঁর স্ত্রী, ছেলে, দুই শ্যালক, দুই শ্যালিকা এবং তাদের ছেলে সহ মোট ৮ জন শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ প্রথমে নগ্ন হয়ে পুজোয় বসেছিল। তারপর তারা নিজেদের বাড়ি এবং মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর শুরু হয় তাণ্ডব নৃত্য। পুজোর শেষে শ্যালিকার ৩ বছরের ছেলেকে বলি দেওয়ার প্ল্যান ছিল শহরিয়া পরিবারের। যাদব শহরিয়ার দাবি, তার মেয়ে চার বছর আগে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু তাদের বিশ্বাস, মেয়ের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাড়িতেই। আর সেই কারণেই নাকি যাদববাবুর স্ত্রী পূর্ণকান্তি দেবী গত দু’বছর ধরে নানান অস্বাভাবিক আচরণ করছে। শিশুবলি না দিলে এই শাপমুক্তি ঘটবে না। তাই শ্যালিকার ছেলেকে বলি দিয়ে গিয়েছিল ওই পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, বানেইরকুচির রমেশ শহরিয়া নামে এক তান্ত্রিক শহরিয়া পরিবারকে নগ্ন হয়ে পুজো ও শিশুবলির বিধান দিয়েছিল। তারপরই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে শহরিয়া পরিবার। ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে শহরিয়া পরিবারের সব সদস্য এবং ওই তান্ত্রিককে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে আজও মানুষের মধ্যে যে কুসংস্কারের আবহাওয়া বাতাবরণ করে তা দেশের মধ্যে ঘটা এহেন অমানবিক কাজের মধ্যে দিয়েই প্রকাশ পায়।