বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি ওঠে ইংল্যান্ড, তা হলে বোধহয় পাল্টে যাবে গোটা টিমের চেহারাই! বোধহয় কেন, সেই স্বপ্ন নিয়েই আপাতত এগোচ্ছে ইংল্যান্ড।
তবে, সেমিফাইনাল বা ফাইনাল যেখানেই দেখা হোক না কেন, ভারতীয় সমর্থকদের নিয়েই চিন্তিত মর্গ্যানরা। যেখানেই খেলা হোক, গ্যালারি ভারতীয় সমর্থকে ভরে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। আর তা হলে কিছুটা হলেও চাপ থাকবে মর্গ্যান, স্টোকসদের উপর। ঘরের মাঠে ‘অ্যাওয়ে ম্যাচ’ খেলতে হবে তাঁদের। এমনিতে এ বারের বিশ্বকাপে ভারতের যে কোনও ম্যাচে গ্যালারি উপচে পড়েছে। গ্রুপ লিগে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ওই ম্যাচেও সিংহভাগ গ্যালারি ছিল ভারতীয় সমর্থকদের দখলে। এ বারও তাই হবে।
এ সব চিন্তা দূরে সরিয়ে ইংল্যান্ড তৈরি হচ্ছে সেমিফাইনালের জন্য। জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জো রুট, মর্গ্যানদের মতো ব্যাটসম্যানরা চমৎকার ফর্মে আছেন। পাশাপাশি বল হাতে পেস বোলার ক্রিস ওকস, জোফ্রা আর্চাররাও পারফর্ম করছেন। শুধু চাপ থাকছে স্পিনার আদিল রশিদকে নিয়ে। বিশ্বকাপের আগে কাঁধে চোট পেয়েছিলেন তিনি। ফিট হয়ে ফেরার পরও সেরা ফর্মে দেখা যায়নি তাঁকে। ৯ ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছেন।
যাই হোক না কেন, এজবাস্টনে সেমিফাইনাল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সেরা ছন্দেই তুলে ধরতে চাইছেন লেগস্পিনার। পাকজাত ক্রিকেটার বলেছেন, ‘এজবাস্টনের পিচ যদি ভালো হয়, তা হলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বড় রান তুলবে। শুরুতেই ব্যাট করে বড় স্কোর তুলে চাপে ফেলে দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য।’
তবু, রশিদ আশ্বস্ত করছেন সেমিফাইনালের আগে। বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে কাঁধে চোট ছিল। তার জন্য ইঞ্জেকশনও নিয়েছি। এখন আমি একশো শতাংশ ফিট।’