লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে। তাই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁকে হাজার চেষ্টা করেও আটকানো যায়নি। তাই একের পর এক নেতা ইস্তফা দিতে শুরু করেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক সংযোজন হল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কমলনাথ, দীপক বাবারিয়া এবং বিবেক ঠঙ্ক। এই ফলাফলের নৈতিক দায় শুধু রাহুল গান্ধীর নয়। এই দায় গোটা কংগ্রেস নেতৃত্বের বলে মনে করেন জ্যোতিরাদিত্য–সহ ইস্তফা দেওয়া বাকি কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা।
দায় কারও একার নয়। দায় সবার। এটা মনে করেন তরুণ তুর্কি কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাই আজ সাতসকালেই জাতীয় রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। কারণ তিনি শুধু কংগ্রেসের নেতাই নন, তিনি কংগ্রেসের একটা মুখও বটে। সেখানে তিনি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় ঘোর সংকটে পড়ল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, রাহুল গান্ধী যে ইস্তফাপত্র টুইট করেছেন তাতে পরিষ্কার করে তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা তাঁকে সমর্থন করেন এবং তাঁকে ইস্তফা ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছেন তাঁরা দলকে নেতৃত্ব দিন। এই ব্যর্থতার দায় তাঁর বলে মনে করেন রাহুল। তাই নৈতিক দায়িত্ব হিসাবে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি বলে টুইটে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এতকিছুর পরও রাহুলকেই নেতা হিসাবে চান কর্মী–সমর্থকরা। রাহুলকে নেতা হিসাবে চান জ্যোতিরাদিত্যও। তাই তিনিও ইস্তফা দিলেন।