বিশ্বকাপের মঞ্চে লাগাতার ৩ ম্যাচে শতরান। রোহিতের ব্যাটের গর্জনে শ্রীলঙ্কাকে হেলায় হারল ভারত। সঙ্গে শতরানের যোগ্য সঙ্গত দিলেন অন্য ওপেনার কে এল রাহুল। ১৮৯ রানের পার্টনারশিপ করে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙল রোহিত-রাহুল। গ্ৰুপ লিগের শেষ ম্যাচ সাত উইকেটে নিজেদের পকেটে পুড়ল ভারত।
এ দিন টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক করুণারতত্নে। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। বুমরাহর দুরন্ত বোলিংয়ে প্রথমে অধিনায়ক করুণারত্নে ও তারপর কুশল পেরেরা প্যাভিলয়নে ফেরেন। এ দিন একদিনের ক্রিকেটে নিজের ১০০ তম উইকেট নিলেন বুমরাহ। তিনে নেমে আবিষ্কা ফার্নান্ডো কিছু শট খেললেও উল্টোদিকে জাদেজার প্রথম ওভারেই ধোনির হাতে স্ট্যাম্প আউট হন কুশল মেন্ডিস। ফার্নান্ডোও আউট হন হার্দিকের বলে। ৫৫ রানে ৪ উইকেট পরে যায় শ্রীলঙ্কার। তারপর ম্যাচের রাশ ধরেন ম্যাথিউজ ও লাহিরু থিরিমানে। নিজেদের উইকেটে বাঁচিয়ে ১২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। শেষ পর্যন্ত ৫৩ রানের মাথায় কুলদীপের বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন থিরিমানে। নিজের কেরিয়ারের তিন নম্বর সেঞ্চুরি করেন ম্যাথিউজ। শেষে ১১৩ করে বুমরাহর বলেই উইকেট দিয়ে ফেরেন ম্যাথিউজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ তোলে শ্রীলঙ্কা। ভারতের হয়ে বুমরাহ ৩ উইকেট ও বাকি চার বোলার একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ স্বচ্ছন্দ ভঙ্গিমায় ব্যাট করেন ভারতের দুই ওপেনার রোহিত ও রাহুল। যে ধীর-স্থির ও পরিণত মস্তিষ্কের খেলা দেখালেন রোহিত তা বহুদিন মনে থাকবে ক্রিকেট প্রেমীদের। প্রথমে হাফসেঞ্চুরি করলেন। তারপর বড় শটের দিকে গেলেন। সেই সময় কিছুটা ধীরে খেলছিলেন রাহুল। কিন্তু রোহিতের ব্যাটিংয়ে আস্কিং রেট একবারের জন্যও বাড়েনি। শেষ পর্যন্ত ১৪ চার ও ২ ছক্কা মেরে ৯২ বলে নিজের পাঁচ নম্বর সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন রোহিত। চার মেরেই নিজের সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১০৩ করে করে রজিথার বলে যখন আউট হন রোহিত তখন ম্যাচ পুরোটাই ভারতের পকেটে। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন রাহুল। রাহুলের ফর্ম সেমিফাইনালের আগে স্বস্তি দেবে ভারতকে। অন্যদিকে বিরাট নিজের ছন্দে খেলছিলেন। ১১১ করে আউট হন রাহুল। চার করে আউট হয়ে যান ঋষভও। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। তাই সহজভাবে ৩৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ যেতে ভারত। অন্যদিকে সম্ভবত, বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন বিশ্বের অন্যতম বোলার লাসিথ মালিঙ্গা।