আজব রাজ্যের আজব গল্প। বিজেপি শাসিত হরিয়ানার শিক্ষা ব্যবস্থায় এক অদ্ভুত নিয়ম বাধ্যতামূলক করল রাজ্যের স্কুল বোর্ড। একসময় স্কুলে পড়া না পারলে কিংবা ক্লাসে দুষ্টুমি করলে শাস্তি স্বরূপ উঠবোস করার নিদান দিতেন শিক্ষকরা। কিন্তু সেই উঠবোস বা ‘সিটআপ’কে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলক করল হরিয়ানা স্কুল বোর্ড।
বোর্ডের দাবি ‘সিটআপ’ বা উঠবোস নাকি মগজের শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ‘সুপার ব্রেন যোগা’–কে বাধ্যতামূলক করল বোর্ড। রাজ্য স্কুল বোর্ডের সচিব রাজীব কুমার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘উঠবোস করলে মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি প্রমাণিত সত্য। তাই স্কুলে তা করানো হচ্ছে।’ আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে ভিওয়ানির একটি সরকারি স্কুলে। বোর্ডের ফরমান অনুযায়ী, প্রতিটি ছাত্রকে রোজ সকালে স্কুলে প্রার্থনার সময় ১৪ বার উঠবোস করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এই যোগের প্রচলন ছিল প্রাচীন ভারতে। একসময়ে শাস্তি হিসেবে এই উঠবোস করানো হত স্কুলগুলিতে। কিন্তু পড়ুয়াদের ওপরে শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না, এমন আইন চালুর পর তা বন্ধ হয়েছে। তবে এই উঠবোস করাতে গিয়েই কিন্তু মৃত্যু হয়েছিল হায়দরাবাদের এক স্কুল ছাত্রের। ২০১২ সালে হায়দরাবাদের একটি স্কুলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে ১০০ বার উঠবোস করতে বাধ্য করা হয়। ঘরে ফিরে প্রবল জ্বরে শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে ওই ছাত্র। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর মৃত্যু হয়।
আর এই নিয়মকে বাধ্যতামূলক করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কি করে এইরকম একটি নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হল প্রশ্ন তুলেছে দেশের ওয়াকিবহাল। মোদীর যোগা প্রীতিকে বাস্তবায়ন করতেই যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমনও মনে করছেন অনেকে।