বারবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হলেও এ রাজ্য এবার বিজেপিকে দিয়েছে ১৮টি আসন। কিন্তু এরপরও তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বাংলাকে সেই ‘ছাগলের তৃতীয় সন্তান’ করেই রাখল মোদী সরকার। গতকাল পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার জন্য কোনও বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা তো হলই না, বরং রাজ্যের বেশ কিছু চলতি প্রকল্পে বরাদ্দ শুন্য করে দেওয়া হল। বহু প্রকল্পের আবার উল্লেখই নেই। এমনকী, রাজ্যে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বরাদ্দের পরিমাণও যৎসামান্য। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্তের ফলেই বারংবার বঞ্চনার শিকার বাংলা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগই কি তবে ঠিক? ইদানীং মোদী-শাহের দল বাংলায় বিজেপির উন্নয়নের উদ্যোগের যে কথা প্রচার করেন, তা কি আচ্ছে দিনের স্লোগানের মতোই একপ্রকার বায়বীয় হয়ে যাবে? উঠছে এ প্রশ্নও।
বাজেটে কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথিকে অনুদান হিসেবে গতবার যেখানে ২৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, এবার তার থেকে ২ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে যে সাহায্য এই প্রতিষ্ঠান পায়, তাও কমেছে। গতবার ছিল ৫৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এবার তা হয়েছে ৫০ কোটি। অনুদান কমেছে স্বাস্থ্যেও। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটের ক্ষেত্রে গতবার যেখানে অনুদান ছিল ৯৮ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা, এবার তা সামান্য কমে হয়েছে ৯৭ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। আবার এক আনাও অনুদান বাড়ান হয়নি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের জন্য। গতবার ছিল ১৮ কোটি। এবারও তাই। হুগলী ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে গতবার ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও, এবার একটি পয়সাও দেওয়া হয়নি। অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ায় গতবার যেখানে বরাদ্দ ছিল ৪৩ কোটি ৬৬ লক্ষ। এবার সেখানে বরাদ্দ হয়েছে ৪৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা।