দিল্লীর মসনদে দ্বিতীয়বারের জন্য পা রেখেছেন মোদী। আগামী পাঁচ বছর দেশের ভার মোদী সরকারের হাতে। তবে প্রথম থেকেই একের পর এক কারণে বিদ্ধ হচ্ছে এনডিএ সরকার। এইবার কাশ্মীরি পন্ডিতদের নিশানায় বিজেপি সরকার। ৩০ বছর ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার আমাদের জন্য কিছুই করেনি৷ এখনও মোদী সরকার কিছু করছে না৷ একনাগাড়ে কথাগুলি বলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দলনেতা সতীশ মালহার৷ তাঁর কথায় ‘আমরা রাজনৈতিকদলগুলির বোড়ে মাত্র৷ বিজেপি বার বার আমাদের ব্যবহার করে৷’
সম্প্রতি তাঁরা শ্রীনগের গিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত নেতা মির্জা ফারুখের সঙ্গে দেখা করেন৷ নিজভূমে ফিরতে চান এইসব কাশ্মীরি পণ্ডিতরা৷ ফারুখ তাঁদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন৷ হুরিয়ত ঠিক করেছে এইসব কাশ্মীরি ব্রাহ্মণদের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে৷ তবে হুরিয়ত চাইলেও মালহারদের ঘরে ফের ততটা সহজ হবে না৷
১৯৯০ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অত্যাচারে রাতরাতি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন কাশ্মীর পণ্ডিতরা৷ সেই থেকে দিল্লীর উদ্বাস্তু শিবিরে তাঁদের জীবন কাটছে৷ মালহারের অভিযোগ, বিজেপি কাশ্মীরের হিন্দুদেরকে নিজেদের রাজনৈতিক চরিতার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছে৷ রাজ্য সরকারও কাশ্মীরি হিন্দুদের ঘরে ফেরা নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ এইনিয়ে সরকারি মুখপাত্র রোহিত কানসাল এই বিষেয় কোনও মন্তব্য করেননি৷ উল্লেখ্য কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধিদল শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে এই বিষয়ে স্মারকপত্র জমা দিয়েছেন৷
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতিনিধিদলের নেতা সতীশ মাহালদার এর স্পষ্ট অভিযোগ ২০১৪ সালে মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত উপত্যকরা হিন্দুদের স্বার্থরক্ষার জনব্য কিছুই করেনি৷ তাঁর আরও অভিযোগ, আমাদের অধিকাংশের বাড়িঘর পুড়িয়ে পেলেছ, নয়তো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ এই অবস্থায় একমাত্র সরকারই পারে আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে৷ তবে এখনএ না কেন্দ্র না রাজ্য কেউই তাঁদের সাহায্য করেনি৷ এমনকী দেশের অন্যপ্রান্তে তাঁদের পুনর্বালনেরও কোনও ব্যবস্থাই কেরনি কেন্দ্রীয় সরকার৷
তাঁর অভিযোগ আজও তাঁরা সরকারি বঞ্চনার শিকার৷ এমনকী প্রয়জোনীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবাটাও অনেকসময় পাওয়া যায় না। এইভাবে বিজেপি সরকার বিরোধী হাওয়ার এক ঝড় তুলে দিয়ে গেল কাশ্মীরি পন্ডিতরা।