শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে কর্মসংস্থান, ফসল উৎপাদনের মতো একাধিক বিষয়ে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে বাংলা। এমনটাই জানাচ্ছে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা। অন্য একাধিক প্রথম সারির উন্নত অর্থনীতির রাজ্য তো বটেই, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশকে পিছনে ফেলে বাংলার কৃষকদের উৎপাদিত ধানের উৎপাদন সর্বোচ্চ। ২০১৭ আর্থিক বছরের এই হিসাবে প্রায় ১৫ কোটি টন ধান উৎপাদন করেছে বাংলা। পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশ সাড়ে ১৩ কোটি টনও স্পর্শ করতে পারেনি। একইভাবে পাট উৎপাদনেও বাংলা এক নম্বরে। বাংলায় মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬ শতাংশ। যা অন্য বহু রাজ্যকে ছাপিয়ে গেছে।
মোদী সরকারের পেশ করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশের মতো রাজ্যের তুলনায় বাংলার একাধিক ক্ষেত্রে উন্নতির পরিসংখ্যান যথেষ্ট উজ্জ্বল। সমীক্ষার একটি অনুচ্ছেদে জাতীয় অর্থনীতিতে মহিলাদের যোগদান, গ্রামেগঞ্জে, পরিবারের অর্থনীতির উন্নয়ন তথা সিদ্ধান্তগ্রহণ, কর্তৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রথম সারিতেই বাংলা।
এই সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান শহরের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কর্মহীনতার হার ৪.৬ শতাংশ, এর মধ্যে গ্রামীণ বেকারত্বের হার ৩.৮ শতাংশ এবং শহরের বেকারত্বের হার ৬.৪ শতাংশ। অন্যদিকে, উন্নত অর্থনীতি সমৃদ্ধ গুজরাতের কর্মহীনতার হার ৪.৮ শতাংশ এবং গ্রামীণ বেকারত্ব ৫.২ শতাংশ বলে কেন্দ্রের রিপোর্টে প্রকাশ।
এছাড়াও স্কুলশিক্ষার হার, স্কুল তথা শ্রেণীকক্ষে পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপাত, স্কুলছুট ইত্যাদির নিরিখে বাংলা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে। গ্রামীন রাস্তা নির্মাণেও প্রথম সারিতে বিদ্যমান বাংলা।