আয়করে তেমন কিছুই জুটল না মধ্যবিত্তের। উল্টে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর সেস বসিয়ে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হল। আরও মহার্ঘ্য হল সোনাও। তবে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারে ভারতীয় অর্থনীতি পৌঁছবে বলে রূপালি স্বপ্ন দেখানো হল। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বাজেটকে তাই তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন।
শুক্রবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট পেশের পর ডেরেক বলেন, ‘এটা স্বপ্ন দেখানোর বাজেট। সরকার এখনও স্বপ্ন দেখিয়ে চলেছে। কিন্তু তা কার্যকর করা হচ্ছে না। ভুক্তভুগি সাধারণ মানুষের জন্য এই বাজেট দুঃস্বপ্ন’। কেন দুঃস্বপ্ন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডেরেক। বিষয় ধরে ধরে মোদী সরকারের বাজেটের ফানুস ফাঁস করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। ডেরেকের কথায়, ‘আরও বেশি পরিমাণে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ টানার উদ্দেশে এফডিআই নীতিতে ছাড় দেওয়ার অর্থ দেশকে বিক্রি করে দেওয়া’।
চাকরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও এই বাজেট কোনও পরিকল্পনা নেই বলে অভিযোগ করেন ডেরেক। ভারতীয় রেল যে ভবিষয়তে বেসরকারিকরণের দিকে এগোচ্ছে, এদিনের বাজেটে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন সীতারামন। সেটাকে কটাক্ষ করে ডেরেক বলেন, ‘সাধারণ বাজেটের সঙ্গে মেশানোর ফলে রেল বাজেট যে উঠে যাবে তা আগেই তৃণমূল ব্লেছিল। আজকের বাজেটে ভারতীয় রেল নিয়ে মাত্র ২ মিনিট আলোচনা সেই ইঙ্গিতই দিল। রেলের জন্য স্পেশাল পারপাশ ভেহিকেল যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। এতে রাজ্যগুলিরই অসুবিধা বাড়বে’।
এদিনের বাজেটে কৃষকদের আয় ২০৪০ সালের সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে বলে ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে ডেরেক বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ইতিমধ্যেই কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে’। পেট্রোল-ডিজেলে সেস বসানোকেও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন ডেরেক। তাঁর কথায়, ‘সেস থেকে যে লাভ হয় তার পুরোটাই কেন্দ্র নিয়ে যায়। রাজ্যকে কিছুই দেয় না। জ্বালানিতে সেস বসানোটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরুদ্ধে। যা মোদী সরকার সব ক্ষেত্রেই করছে’।