‘দুই অরূপের জন্যই ডুবে গিয়েছে বাঁকুড়া।’ প্রশাসনিক বৈঠকে এভাবেই অরূপ খাঁ ও অরূপ চক্রবর্তীকে ভর্ৎসনা করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করতে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন তৃণমূলনেত্রী। জেলাস্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁদের বিভিন্ন পাঠও পড়াচ্ছেন মমতা। এদিন বাঁকু়ড়ায় বৈঠকে গিয়ে অরূপ খাঁ ও অরূপ চক্রবর্তীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সেক্ষেত্রে শম্পা দরিপাকে বেশি ‘মার্কস’ দেন নেত্রী। এবার থেকে শম্পা দরিপার নির্দেশেই বাঁকুড়া শহরে কাজ করতে হবে বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন মমতা।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ‘কোনওরকম সংঘর্ষে জড়ানো যাবে না। রাজনৈতিকভাবে লড়তে হবে’। যুব সভাপতি রাজীব ঘোষালকে বসিয়ে দেন নেত্রী। বীরবাহা সুরেশকে তিনি নির্দেশ দেন, কোর কমিটিতে উমা সোরেনকে যুক্ত করে নিতে। এদিন বাঁকুড়ায় জেলাস্তরে নেতাদের মধ্যে কী খামতি রয়েছে, এদিনের বৈঠকে তাও স্পষ্ট করে দেন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সব নেতারা কুর্সিতে বসেছিল, তাঁরা মানুষের কাছে যাননি’। ঝাড়গ্রামে দলত্যাগী নেতাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঝাড়গ্রামে যারা বেরিয়ে গিয়েছে, তারা টাকা নয়ছয় করে বেরিয়েছে।‘ সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতা কর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর পাঠ পড়ান নেত্রী। তিনি বলেন, ‘লড়াই করুন। লড়াই করতে কী ভুলে গিয়েছেন? লড়াই করেই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ২০২১-এ আমরাই ফিরব। দলীয় নেতা কর্মীদের বলেন, ‘যাঁরা যাঁরা বিজেপিতে যোগাযোগ রাখছে, তাঁদের বাদ দিন’।