মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস জুড়ে শুধুই হতাশার চিত্র। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিক জীবনে ব্যবহারিত জিনিসের ওপর থাবা বসিয়েছে আজকের পেশ হওয়া বাজেটে। আর এইবার সরকারি কর্মচারীদেরও হতাশা বাড়ল। তাঁদের আশায় জল ঢেলে দিল আজকের বাজেট। নির্মলা সীতারামণের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন নিয়ে কোনো উল্লেখই ছিল না।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। আর্থিক বাজেটে এই বিষয়ে বড় কিছু ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করেছিলেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। কিন্তু শেষমেশ হতাশাই জুটল সরকারি কর্মীদের। সেই অর্থে দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে বাজেটে একটা শব্দও ঘোষণা করা হল না। আর তাতেই মোদী সরকারের উপর ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীদের একাংশ।
ভোট মিটলেই সরকারি কর্মীদের জন্যে বড় কিছু ঘোষণা মোদী সরকার করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল বিজেপি। এই অবস্থায় দ্বিতীয় বারে জন্যে দিল্লির মসনদে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদী। সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ মোদীর পাশেই ছিল। ফলে মনে করা হয়েছিল এই আর্থিক বাজেটে সরকারি কর্মীদের সমস্ত দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে বড় কিছু ঘোষণা করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের এখন মাত্র ১৮ হাজার টাকা নুন্যতম বেতন। কর্মীরা মনে করে ছিলেন খুব দ্রুত সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সুপারিশ মোতাবেক ৮০০০ টাকা বৃদ্ধি হতে পারে। যার ফলে সরকারি কর্মীদের নুন্যতম বেতন বৃদ্ধি একধাক্কা বেড়ে ২৬ হাজার টাকা হতে পারে। শুধু তাই নয়, সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্ত অর্থমন্ত্রক নিতে পারে বলেও মনে করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু কিছুই ঘোষণা না হওয়াতে চরম হতাশ দেশের লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। জ্বালানি থেকে সোনা বহু কিছুরই দাম বেড়েছে এই বাজেটে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বঞ্চিত হল সরকারি কর্মচারীরাও।