বাংলার মানুষকে তিনি ভালো থাকতে শিখিয়েছেন৷ স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। সঙ্কীর্ণ ধর্মান্ধতা ও ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রাজ্যের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে ডাক দিয়েছেন বারবার। রাজ্যে শিল্পায়নের পথ প্রশস্ত করতে লগ্নির আহ্বান করেছেন শুধু দেশের বিনিয়োগকারীদের কাছেই নয়, বিদেশেও। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করেছেন কলকাতায়। গত ৫ বছরে ওই সম্মেলনে এসেছেন ৩৫টিরও বেশি দেশের শিল্পপতি ও বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। লগ্নি হয়েছে রাজ্যে, তেমনই মউ চুক্তিও। মমতা শিল্পোদ্যোগীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, বাংলায় শিল্প পরিকাঠামো কতটা উপযোগী। তাতে সাড়াও মিলেছে ভালই।
বাংলার কৃষ্টি–সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে তিনি সদা প্রয়াসী। সে জন্য উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের ‘বিশ্ব বাংলা’ ব্র্যান্ড। বাংলার হস্তশিল্প, বয়নশিল্পকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে বিশ্ব বাংলা। রাজ্যের শিল্পায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। বিদেশি শিল্পোদ্যোগীদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনেকেই এখন ব্যবসা করছেন এই রাজ্যে। বাংলার কুটির ও হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে সাড়া ফেলেছে ‘বিশ্ব বাংলা’ বিপণিও। দার্জিলিং থেকে কলকাতা, দিল্লী, বিমানবন্দরেও ‘বিশ্ব বাংলা’কে খুঁজে পাওয়া যাবে।
উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘বাল্টিমোরে ৫ থেকে ৭ জুলাই বঙ্গ সম্মেলনের সাফল্য কামনা করছি।’ মমতা প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বরাবরই আবেদন করেন, “বাংলার কথা ভাবুন। বাংলার উন্নয়নে এগিয়ে আসুন”৷
আগামী দিনে চীন ও লন্ডনে শোভা পাবে এই স্টল। মার্কিন মুলুকে বাল্টিমোরে আয়োজিত প্রবাসী বাঙালিদের এই মহোৎসবে ‘বিশ্ব বাংলা’ স্টল থাকছে। স্বভাবতই উৎসাহ তুঙ্গে মার্কিন প্রবাসীদের কাছে। কেনাকাটার আনন্দে। ২০১৫ সালে প্রথমবার বঙ্গ সম্মেলনে বিশ্ব বাংলার প্যাভিলিয়ন হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহে টেক্সাসের হিউস্টনে গেছিলেন বাংলার কারিগরেরা। মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রবাসী বাঙালিদের। তাঁদের তৈরি শাড়ি–জামাকাপড়, কাঁথা–গয়না–ব্যাগ আর ঘর সাজানোর নানা সামগ্রী নজর কেড়েছিল সবার। বিক্রিও হয়েছিল ভালই। সেই অভিজ্ঞতার নিরিখে আবারও এ বছর বিশ্ব বাংলা পাড়ি দিচ্ছে আমেরিকা।