প্রথম মোদী সরকারের আমল থেকেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার বাংলা। মোদীর দ্বিতীয় ইনিংসেও বজায় রয়েছে সেই ধারা। একদিকে যেমন রাজ্যের ‘বাংলা’ নামকরণে পথের কাঁটা হয়ে উঠছে কেন্দ্র, তেমনি তাদের অসহযোগিতায় থমকে রয়েছে রাজ্যের নানা উন্নয়নমুখী কাজ। এ নিয়েই এবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘বীরভূমের দেউচাপাচামি কয়লাখনি নিয়ে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করল না। ৪ বছর ধরে বিষয়টি পড়ে রয়েছে। আমি বার বার ফোন করেছি। রাজ্য থেকে অফিসাররা গিয়েছিলেন। সমঝোতা স্বাক্ষর হয়ে গেলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।’ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ করেন যে, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রচুর কয়লা লাগে। গত কয়েকমাস ধরেই কেন্দ্র কয়লা দিচ্ছে না।
গতকাল কাটোয়ার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন রাজ্যে লোডশেডিং হয় না। বিদ্যুৎ উৎপাদন যথেষ্ট ভাল। গত ৩ মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার কয়লা পর্যন্ত দেয়নি। কিন্তু আমাদের সরকারের সদর্থক ভূমিকা রয়েছে। আমি বার বার বলছি সেভ গ্রিন, সেভ এনার্জি, সেভ আর্থ। সকাল ১০টাতেও অনেক রাস্তায় আলো জ্বলতে থাকে। আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে সার্কিট হাউসে থাকি। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় আলো পাখা বন্ধ করে দিই সবসময়। এটা সরকারের টাকা, জনগণের টাকা বুঝতে হবে।’
এরপর বিদ্যুতের ওপর প্রশ্ন করেন তৃণমূল বিধায়ক নার্গিস বেগম। উত্তরে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গরমকালে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। সেই মতোই রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এখন সৌরবিদ্যুতের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ২০১১ সালে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিল ৮৫ লক্ষ। ৭ বছরে বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, সবার ঘরে আলো পৌঁছে দিতে হবে। তাঁর নির্দেশে আলোশ্রী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে সুন্দরবনের ১৪টি দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। তবে লো ভোল্টেজ কমানোর চেষ্টা করছি। যাঁরা অন্যায়ভাবে বিদ্যুৎ নিচ্ছেন, তাঁদের অনুরোধ করছি এটা না করতে।’