এর আগে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিসে সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়েছিল বিহার। যার ফলে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছিল সেখানকার হাসপাতালে। যার ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বিজেপি শাসিত বিহারের স্বাস্থ্য পরিষেবা। ঠিক একই সময় এবার জাপানি এনসেফেলাইটিসের সংক্রমণ ছড়াল সেই বিজেপি শাসিত অসমে। গত দু’দিনে সেখানে ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু সংখ্যক মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে শিশুও। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের ভাইরাস সরাসরি মস্তিষ্কে হানা দেয়। তা ছাড়া, জ্বর, বমি, মাথাব্যথা, ঝিমুনি তো রয়েছেই। সময়ে ধরা না পড়লে মৃত্যু ঘটতে পারে রোগীর। ২০১৫ সালেও ৫৬৫ জন জাপানি এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হন অসমে। সেইসময় ১৩২ জনের মৃত্যু হয়। বেশির ভাগ রোগীই ছিল উজানি অসমের। গত বছর ১৮ জনের মৃত্যু হয় এই একই রোগে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অসমের ১৫টি জেলায় মোট ৬৯ জনের রক্তের জাপানি এনসেফেলাইটিসের জীবাণু মিলেছে। এই রোগের প্রতিষেধকের অভাবে সমস্যা পড়েছেন সাধারণ মানুষ। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের ওষুধ সরবরাহকারীদের হাতে ওই ওষুধ না আসায় বিপত্তি বেড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ফার্মাসিতে এই রোগের প্রতিষেধকের অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা ছড়িয়েছে।
অসম সরকারের স্বাস্থ্য দফতর, ‘ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’-এর অধীনে রাজ্যের ১৫টি জেলায় প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চলছে। কেন্দ্র স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে চারটি দলকে প্রতিষেধক সরবরাহ-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে।