মঙ্গলবারই জোহনেসবার্গের ফ্লাইট ধরার সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রিয়াজ ভাটিকে গ্রেফতার করে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্ট এক্সটরশন সেল। আর এবার জানা গেল পাকিস্তানেই রয়েছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিম। উল্লেখ্য, বহু তথ্য-প্রমাণ পেশ করার পরেও পাকিস্তান কোনও সময়ই মানতে চায় না যে সেখানেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। এবার সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন সরকার লন্ডন আদালতকে জানাল যে, ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর অপরাধের আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট রয়েছে পাকিস্তানের করাচিতে।
সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দাউদের খাস লোক হিসেবে পরিচিত জাবির মোতিওয়ালার প্রত্যর্পণের শুনানির প্রথম দিন ছিল। মার্কিন সরকারের আইনজীবী জন হার্ডি কিউসি আদালতে জানান, ‘নিউ ইয়র্কের এফবিআই পাকিস্তান, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সক্রিয় ডি কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত করছে। সংস্থার প্রধান দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে নির্বাসনে রয়েছেন। তিনি ও তাঁর দাদা ১৯৯৩ সাল থেকে ভারতে পলাতক আর গত ১০ বছর ধরে তাঁরা আমেরিকায় বিশেষত আর্থিক তছরুপ ও তোলাবাজিতে সক্রিয়। এফবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, মোতিওয়ালা সরাসরি দাউদকে রিপোর্ট করেন এবং তাঁর প্রধান কাজ হল তোলাবাজি, ঋণ আদায় ও অর্থ তছরুপ।’
প্রসঙ্গত, গোপন তথ্য পেয়ে গত অগস্টে আর্থিক তছরুপ ও মাদক পাচারের অভিযোগে ডি-কোম্পানির অন্যতম চাঁই তথা দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ সেই জাবির মোতিওয়ালাকে লন্ডন থেকে গ্রেফতার করেছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। কিন্তু এবার আমেরিকার হাতে জাবিরের প্রত্যর্পণ আটকাতে উঠেপড়ে লেগেছেন ব্রিটেনে কর্মরত পাক কূটনীতিবিদরা। সূত্রের মতে, পাকিস্তানের আশঙ্কা, জাবিরকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া হলে দাউদের অন্ধকারজগতের সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর আঁতাত সামনে এসে পড়বে। সে কারণেই লন্ডনে পাক হাইকমিশন আগেই জাবিরের তরফে আদালতে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, অভিযুক্ত পাকিস্তানের ‘একজন প্রথিতশা ও মান্যগণ্য ব্যবসায়ী।’ আমেরিকায় যেন তাঁকে প্রত্যর্পণ না করা হয়।