মোদীর প্রথম ৫ বছরের শাসনকালে দেশের বিরোধী দলগুলি অভিযোগ এনেছিল স্বৈরাচারী শাসনের। এবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার দেড়মাসের মধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে চিঠি পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানানো হল, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সেখানে স্বজনপোষণ চলছে। তার পাশাপাশি বিচারপতি রাংনাথ পাণ্ডে বলেন, “কলেজিয়ামে জাতিভেদ রাজনীতি চলছে।” দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মোদীর উদ্দেশ্যে একটি শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠান বিচারপতি রাংনাথ পাণ্ডে। চিঠিতে তিনি মোদীকে শুভেচ্ছাবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে স্বজনপোষনের বিষয়েও জানান।
চলতি বর্ষের ১লা জুলাই চিঠিটি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেখানে বিচারপতি পাণ্ডে লেখেন, “আমার ৩৪ বছরের চাকরিজীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগের দুটি মূল শর্ত হল স্বজনপোষণ ও জাতিভেদ প্রথা।” কলেজিয়াম পদ্ধতিতে সমস্যার কথা তুলে ধরে বিস্তারিত জানানোর পর তিনি বলেন, “দেশে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাত দুষ্ট হচ্ছে কলেজিয়াম ব্যবস্থা।” একইসঙ্গে এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে সেই বিচারপতি জানান, এইভাবে যদি চলতে থাকে তবে আগামীদিনে বিচারপতিদের শিক্ষাগত, বিচারগত ও রায়দানের যোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াবে দেশের বিচারব্যবস্থাও।
প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে মোদী জমানায় বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা, খামখেয়ালীপনা নিয়ে বহুবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। নানা সময়ে দেখা গিয়েছে দেশের বিচারব্যস্থার হাল ধীর গতিতে চলতে। এর আগেও বহুবার দেশের শীর্ষ আদালত অনুরোধ করছে বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারকে সক্রিয় হতে।
চিঠির শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে তিন লেখেন, বিচারব্যবস্থা হাল ফেরাতে যেন বিচারপতি নিয়োগে জোর দেয় মোদী সরকার। চলতি প্রথার অবসান ঘটিয়ে গোটা দেশে বিচারব্যবস্থার মর্যাদা ফিরিয়ে আনার অনুরোধ ও করেন তিনি।