একবার না, দু’বার না, বারবার… ভোররাতের ম্যাচে আরও একবার দেশের জার্সি গায়ে ট্রফি না জেতার ‘কলঙ্ক’ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে দুরমুশ করে দিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেল ব্রাজিল। সৌজন্যে তিতে ও তাঁর সাম্বা বাহিনী।
প্রাচীরের মতো ডিফেন্স আর সুযোগ বুঝে কাউন্টার অ্যাটাকের স্ট্র্যাটেজিতেই এই ম্যাচে মেসি-আগুয়েরোর আর্জেন্টিনাকে হারাল সেলেকাওরা। ১৯ মিনিটে প্রথম গোলের স্বাদ পায় ব্রাজিল। ডানদিকে বল ধরেন দানি আলভেস বাড়িয়ে দেন ফিরমিনহোকে। সেখান থেকে ফিরমিনো গোলের ঠিকানা লেখা পাস বাড়ান জেসুসকে। সেকেন্ড পোস্টের কোণ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন জেসুস। যদিও ২৯ মিনিটেই খেলায় ফিরতে পারত আর্জেন্টাইন টিম। বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করেন ক্যাসেমেরো। ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির ফ্রি-কিক মাথা দিয়ে অসামান্য ফ্লিক করেন আগুয়েরো। কিন্তু ক্রসপিসে লেগে ফিরে আসে। এরপর সারা প্রথমার্ধ কার্যত কড়া ডিফেন্সিভ ফুটবলে চলে যায় ব্রাজিল। হাফটাইমে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই ড্রেসিং রুমে ফেরে সাম্বাবাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধে আবার অন্য ব্রাজিল। উইলিয়ানকে নামিয়ে উইং সচল করেন তিতে। যার ফল হাতেনাতে মেলে ৭১ মিনিটে ব্রাজিলের কাউন্টার অ্যাটাক থেকে। মাঝমাঠে বল ধরে তড়িৎ গতিতে এগোতে থাকেন জেসুস। চার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারকে ফালাফালা করে ঢুকে পড়েন বক্সে। সেখান থেকে মাইনাস করেন ফিরমিনহোকে। ২-০ করেন ফিরমিনহো। ৬০ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নামিয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনো লাভ হয়নি। মেসি নির্ভর ফুটবল খেলে ৯০ মিনিটে গোলের মুখ খুলতেই পারল না আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাইন।
তবে এই ম্যাচেও ব্রাজিলকে ভরসা জুগিয়েছে গোলকিপার অ্যালিসনের হাত জোড়া। মেসি-আগুয়েরোর বেশ কিছু গোলমুখী শট তিনি একার কৃতিত্বে বাঁচিয়ে দেন। এদিনের ম্যাচ দেখতে এসেছিলেন ব্রাজিলের ওয়ান্ডার কিড নেইমার জুনিয়র। যিনি কোপা আমেরিকা শুরুর আগেই চোট পেয়ে ছিটকে গেছিলেন স্কোয়াড থেকে। দল জেতার পর ড্রেসিং রুমে গিয়ে সতীর্থদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।