বাংলার মাদ্রাসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠল বিধানসভায়। বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। তাঁর যুক্তি, ১৪০০ বছর ধরে বাংলায় মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা চলছে। সেখানে হঠাৎ করে এখানকার মাদ্রাসাগুলিকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিন বিধানসভায় আবদুল মান্নান বলেন, ‘অনেক ছাত্র পড়ে মাদ্রাসাতে। অনেক হিন্দু শিক্ষকও রয়েছেন। কেন্দ্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যদি কেউ এধরনের কথা বলেন, তা সংবিধানবিরোধী। বাংলার কথা উল্লেখ করে, বাংলার সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে আঘাত করা হয়েছে। আমাদের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ঠিকই, কিন্তু এটা মেনে নেওয়া যায় না’।
এবিষয়ে যৌথ প্রস্তাব আনার পক্ষে সওয়াল করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অধ্যক্ষকেও অনুরোধ করা হয়। এই নিয়ে মুখ খোলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও। তাঁর যুক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে টার্গেট করতে মোদীর সরকার বিভিন্ন পথ নিচ্ছে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘সার্বিকভাবে মাদ্রাসাকে বললে ভুল। কোনও ব্যক্তি বা কোনও ছাত্র যদি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তাবের কথা স্পিকার করেছে। একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব আসা উচিত। বিজেপি বাদ দিয়ে তাতে সকলেই সম্মতি জানাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। প্রশ্ন হল, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা সাড়ে চোদ্দোশো বছর ধরে চলে আসছে। কোনও মাদ্রাসায় কোনও নাশকতা, সন্ত্রাস নেই’।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের মাদ্রাসাগুলিকে যুবক-যুবতীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি জঙ্গিরা। সম্প্রতি এমনই রিপোর্ট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরপরেই এই নিয়ে বিধানসভায় সরব হয় তৃণমূল এবং কংগ্রেস।
