বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তাঁর। ঋষভ পন্থের সঙ্গে রাখা হয়েছিল ব্যাক আপ হিসেবে। সুযোগ পেয়েছেন ঋষভ। বিজয় শঙ্কর চোট পাওয়ার পর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটিও একদিনের ম্যাচ না খেলা ময়ঙ্ক আগরওয়ালকেও। তবুও সুযোগ পাননি তিনি। আর সেই রাগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান অম্বাতি রায়ডু। বিসিসিআইয়ের কাছে চিঠি লিখে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
দেশের হয়ে একদিনের ক্রিকেটে রায়ডু ৫৫টি ম্যাচে করেছেন ১৬৯৪ রান। তিনটি শতরান ছিল তাঁর। সর্বোচ্চ ১২৪। শেষ বার তিনি ভারতের হয়ে খেলেছিলেন এই বছরের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। সেখানে ৩ ইনিংসে তাঁর মোট রান ছিল ৩৩। একটিও টেস্ট না খেললেও খেলেছিলেন ছয়টি টি-২০ ম্যাচ। তবে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে সেই ভাবে সাফল্য পাননি তিনি। ৫ ইনিংসে তাঁর মোট রান ৪২, সর্বোচ্চ ২০।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, বুধবার বোর্ডের কাছে মেল করে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন রায়ডু। অন্ধ্রের ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, আইপিএলেও আর খেলবেন না তিনি। বিদেশে বিভিন্ন টি টোয়েন্টি লিগ খেলার জন্য বোর্ডের কাছে অনুমতি চেয়েছেন তিনি।
গত প্রায় ২ বছর ধরে ভারতের চার নম্বর স্পটের লড়াইয়ে ছিলেন রায়ডু। সবথেকে বেশি ম্যাচ তিনিই খেলেছেন। অথচ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে তাঁর জায়গায় নেওয়া হয় অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্করকে। এই সিদ্ধান্তের পর নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ জানিয়েছিলেন, বিজয় থ্রি ডাইমেনশনাল ক্রিকেটার বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। এরপর বোর্ডকে কটাক্ষও করেছিলেন রায়ডু।
একদিনের ক্রিকেটে ৫০টি ইনিংসের অভিজ্ঞতা থাকলেও অনভিজ্ঞ মায়াঙ্কের দলে সুযোগ পাওয়া বোধ হয় মেনে নিতে পারেননি অন্ধ্রপ্রদেশের এই ডানহাতি। ৩৩ বছরের এই ক্রিকেটার ২০১৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচ খেলেন ভারতের হয়ে। ঝাড়খণ্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা একদিনের ম্যাচই তাঁর ক্রিকেট জীবনে দেশের হয়ে শেষ খেলা হয়ে রইল।