অবশেষে বাঙালির প্রতিবাদের ঠেলায় পিছু হটল ডাবর। ফেসবুক থেকে নিজেদের বাঙালি বিরোধী বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিল তারা।
প্রসঙ্গত, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আগে এক পাকিস্তানি ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের বিজ্ঞাপন ঘিরে যেমন তৈরি হয়েছিল বিতর্ক, তেমনি ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগেও বিতর্কের শিরোনামে চলে আসে ডাবর কোম্পানির এক বিজ্ঞাপন। যেখানে ‘তিলের নাড়ু’ নিয়ে তামাশা করা হয় নোংরা ভাবে। যে তিলের নাড়ু বাংলাদেশের বাঙালি না, ভারতের বাঙালি খায় মূলত। এমনকি, বাড়ির লক্ষী পুজোতেও ব্যবহৃত হয় তা। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞাপনটিতে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের স্রষ্টা তথা বাঙালি জাতির প্রাণপুরুষ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছড়া-গান “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” নিয়েও মস্করা করে হয়েছিল।
বাংলাদেশের সাথে খেলার পারদ চড়াতে গিয়ে ভারতের বাঙালিকে অপমান কেন? এমনই প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি গর্জে ওঠে বাঙালি। ফেসবুক, হোয়াটস্যাপে এবং টুইটারে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। অনেকে ডাবরের কাস্টোমার কেয়ারে ফোন করে প্রতিবাদ জানায়। নানা বাঙালি সংগঠনের পক্ষ থেকে ডাবরকে বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়। বলা হয়, সম্প্রতি করা আপনাদের এই বাঙালি বিরোধী বিজ্ঞাপনটি যদি অতিসত্ত্বর সরিয়ে না নেওয়া হয় তাহলে এই বিজ্ঞাপনটি ও আপনাদের কোম্পানিকে বাংলার সমস্ত অঞ্চলে বয়কট করা হবে। যদি বাঙলায় ব্যবসা করতে চান তাহলে অতিসত্বর এই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে দিন ও বাঙালি জাতির কাছে ক্ষমা চান।
শেষমেশ বাঙালির এ হেন রণংদেহি মূর্তি দেখে পিছু হটল ডাবর। তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। যদিও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বাংলার নানা বাঙালি সংগঠন। তবে এখনও ডাবর কোম্পানির তরফ থেকে ভুল স্বীকার করে কোনও রকম পোস্ট বা মন্তব্য আসেনি। ক্ষমাও চাওয়া হয়নি বাঙালির কাছে।