নোটবন্দীর পরেও রোখা যাচ্ছে না জাল নোটের অসাধু চক্রকে। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে জাল নোট উদ্ধারের প্রশ্নে প্রথম দু’টি স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাত। দুটিই বিজেপি শাসিত রাজ্য।
২০১৬ সালে নোটবন্দীর সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন নতুন নোট বাজারে এলে কমে যাবে জাল নোটের সমস্যা। নতুন নোটগুলি এত উন্নত মানের হবে যে তা নকল করা সম্ভব হবে না। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের তিন বছর বাদে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, আগের চেয়ে কমলেও একেবারে থামানো যায়নি জাল নোটের চক্রকে। গোটা ভারতে কম-বেশি সক্রিয় রয়েছে সেই চক্রের সদস্যেরা।
একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দুশ্চিন্তায় রেখেছে জাল টাকার উন্নত মান। নোট ছাপার মেশিনে উন্নত মানের কাগজ ব্যবহার করে নতুন দু’হাজার ও পাঁচশো টাকার হুবহু নকল করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে কারবারিরা। জাল নোটগুলি এত উন্নত যে খালি চোখে তা ধরা প্রায় মুশকিল। নোটে যে সুরক্ষাব্যবস্থা রয়েছে তার প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ নকল করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে জাল কারবারিরা।
জাল নোটের পাশাপাশি সরকারকে চিন্তায় রেখেছে বেআইনি লেনদেনও। নোটবন্দী হলে বেআইনি লেনদেন কমবে বলে সে সময়ে সরকার ওই দাবি করলেও বাস্তবে হয়েছে উল্টো। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা ফিনানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) বেআইনি লেনদেন ও সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহৃত অর্থের খোঁজ রাখে। সেই সংস্থা চলতি বছরের এপ্রিলে জানিয়েছে ২০১৭-১৮ সালে গোটা দেশে প্রায় ১৪ লক্ষ সন্দেহজনক লেনদেনের খবর এসেছে। যা তার আগের বছরের চেয়ে অনেকটাই বেশি। ফলে নোটবন্দীর সিদ্ধান্ত কতটা সময়োপযোগী ও যুক্তিযুক্ত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল খোদ মোদী সরকারেরই রিপোর্ট।