উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পদে থাকাকালীন এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন। মনে করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া-আমেরিকার ঠান্ডা যুদ্ধ মেটাতে আচমকাই এহেন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করলেন ট্রাম্প। দুই কোরিয়ার বিভাজন রেখা বা সীমান্ত কোরিয়ান ডিলিমিটাইজড জোন-এ (ডিএমজেড) গিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘স্বৈরাচারী’ শাসক কিম জং উনের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি। দু’জনের একটি বৈঠকও হয়। ট্রাম্পের এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে ওয়াশিংটন-পিয়ংইয়ং-এর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
কিম-ট্রাম্প বৈঠকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সমস্যার সমাধান করতে কার্যকরী পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছেন। এ দিন প্রথমে ডিএমজেড-এ দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন দু’জন। তার পর সেখান থেকে হেঁটে উত্তর কোরিয়ার মাটিতেও পা রাখেন ট্রাম্প। সেখানে দাঁড়িয়ে আরও এক বার হাত মেলান কিমের সঙ্গে। দু’জনের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের কাছে এ এক বিরাট দিন। এখানে আসতে পারা আমার কাছে সম্মানের। আগামী দিনে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে।’’
অন্য দিকে এই বৈঠককে শান্তির করমর্দন আখ্যা দিয়ে কিম বলেন, ‘‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তরেখায় এই বৈঠকই প্রমাণ করে, আমরা অতীতকে পিছনে ফেলে এসেছি।’’ ট্রাম্পও বলেছেন, ‘‘কিম তাঁর পছন্দমতো যে কোনও সময়ে হোয়াইট হাউসে স্বাগত।’’
ইঙ্গিতটা অবশ্য শনিবারই মিলেছিল ট্রাম্পের টুইটে। তিনি লিখেছিলেন, পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটনের অচলাবস্থা কাটাতে বোঝাপড়ার চেষ্টা চলছে। আর তার পরের দিনই উত্তর কোরিয়ায় ট্রাম্পের পৌঁছে যাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত কূটনৈতিক মহলের। পিয়ংইয়ং-এর পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন আমেরিকা। অনেক বার কোরিয়াকে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। পাল্টা তোপ দেগেছেন কিমও। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে ট্রাম্পের উপস্থিতি সম্পর্কের বরফ অনেকটাই গলতে পারে। যদিও এই উষ্ণতা চিরস্থায়ী কি না, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।