গন্ডগোলের সূত্রপাত জমিতে বেড়া দেওয়া থেকে। তার থেকেই শুরু বচসা, তার থেকে হাতাহাতি, সেখান থেকে সেই বিবাদ নেয় রাজনৈতিক বিবাদের চেহারা। এই অবস্থায় দু’পক্ষের ঝামেলার মাঝে পড়ে পেটে লাথি খেলেন এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। স্থানীয় সূত্রের খবর, গোপাল মণ্ডল এবং আনন্দ মণ্ডল ওই এলাকার সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ বাড়িতে গোয়াল ঘরের বেড়া সংস্কার করছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই এলাকার বিজেপি নেতা নারায়ণ পাইকের নেতৃত্বে সুশান্ত পাইক ও জয়ন্ত পাইক এসে মণ্ডল পরিবারের সদস্যদের কাজে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
এর প্রতিবাদ করতেই তৃণমূল কর্মী গোপাল মণ্ডল ও তার ভাই আনন্দ মণ্ডলকে বিজেপি নেতার সঙ্গে থাকা দলবল বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এই সময়ে গোপালের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইলা মণ্ডল ঝামেলা থামাতে এলে, তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার রাজবাড়ি এলাকায় বিজেপি নেতা নারায়ণ পাইকের হামলায় এই অবস্থা হয়েছে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই বধূর। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
ইলার অভিযোগ, হামলাকারীরা তাঁর শাশুড়ি-মাকে দূরে সরিয়ে ফেলে দেয় ধাক্কা দিয়ে। এই সময়েই ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে, গলা টিপে ধরে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলেদাবি তাঁর। এই সময়ে বাড়িতে স্বামী গোপাল ও আনন্দ ছিলেন না, বাজার করতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।