লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই ‘বেনোজল’ ঢুকতে শুরু করেছে বিজেপিতে। এবং তা আটকাতে কোনও ‘ছাঁকনি’ ব্যবহার করা হচ্ছে না। আর এই বেনোজল ঢুকছে ‘আদি-নব্য’ বিবাদের কারণেই। এই সব কারণে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আরএসএস-এর নেতাদের কপালে।
আরএসএসের প্রভাবিত পত্রিকার ১৭ জুন সংখ্যার প্রচ্ছদ কাহিনি হল – ‘কতটা বেনোজল আটকাতে পারবে বিজেপি’। আর সেখানে প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিবন্ধের বক্তব্য, ‘দিন পরিবর্তনের আভাস পাইতেই আজ যাহারা বিজেপির আশ্রয়ে আসিতে চাহিতেছে, তাহারা সবাই স্বচ্ছ নয়। ইহাদের মধ্যে বেনোজলও আছে। … বিজেপির মতো দল, যাহারা নিজেদের পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স বলিয়া প্রচার করে, তাহাদের তো এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকাই উচিত’।
বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপি সূত্রের আরও খবর, ‘আদি’ নেতাদের অনেকেই মনে করেন, ‘বহিরাগত’ নেতাদের একাংশ দলের আদর্শকে ‘কলঙ্কিত’ করে স্বার্থসিদ্ধি করছে। ইতিমধ্যেই দলের ভিতরে কয়েকটি সংগঠন তৈরিকে ঘিরে সেই বিতর্ক সামনে এসেছে। যেমন- ‘বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ’। ‘নব্য’ নেতাদের একাংশ শুক্রবার ওই সংগঠনের সূচনা পর্বে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেও তা বাতিল করেন। বলা হয়, ভাটপাড়া-কাণ্ডের জেরে তা বাতিল হয়েছে। যদিও দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ ফোন করে এ ধরনের সংগঠন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সঙ্ঘের এই সতর্ক-বার্তা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওই জাতীয়তাবাদী পত্রিকাটির পৃথক মত আছে। তা নিয়ে মন্তব্য করব না। বিজেপি আলাদা দল। আমরা বেনোজলের বিষয়ে সতর্কই। অন্য দল থেকে নিচ্ছি সকলকেই। কিন্তু দলের গঠনতন্ত্রই ছাঁকনির কাজ করছে’।