রবিবার তৃণমূল ভবনে মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মহিলাদের নিয়ে বৈঠক করে একটি কর্মসূচি ঠিক করেন। বৈঠকে ছিলেন সাংসদ মালা রায়, দুই বিধায়ক শিউলি সাহা ও স্মিতা বক্সি। সেখানে ঠিক হয় রাজ্যের সব পুরসভায় তৃণমূল মহিলা জনজাগরণ যাত্রা করবে। এদিন ২১ জুলাই শহীদ দিবসের সভার প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়। মহিলা জনজাগরণ যাত্রার কর্মসূচিতে কোনও মিটিং মিছিল থাকছে না। কাঁধে দলের পতাকা নিয়ে গ্রুপ করে মহিলারা বাড়ি বাড়ি যাবেন। পরিবারের সদস্যদের গিয়ে তাঁরা সরকারের উন্নয়নের কথা বলবেন, অভাব অভিযোগ শুনবেন, মহিলা বক্তা খুঁজে বার করবেন।
২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে মহিলাদের বলা হয়েছে, বড় মিছিল নয়, ছোট ছোট মিছিল, পথসভা, গ্রুপ মিটিং করতে হবে। জেলা থেকে ২১ জুলাই ধর্মতলায় ব্যাপক লোক আনতে হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বরূপ বিশ্বাস, সৌম্য বক্সি, জীবন সাহা–সহ অনেকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রস্তুতি নিয়ে আরও আলোচনা হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই রাস্তায় রাস্তায় ২১ জুলাইয়ের হোর্ডিং লাগানো হবে। ইতিমধ্যে হোর্ডিংয়ে কি ছবি যাবে তা সিডি করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেত্রীর ছবি, ২১ জুলাই ধর্মতলায় চলো, হোর্ডিংয়ে এসবই থাকবে। মিটিং মিছিল শুরু হয়ে গেছে। নেতারা মিটিংয়ে মমতার উন্নয়নের কথা বলছেন। বিজেপি–কে আক্রমণ করছেন। বলা হচ্ছে, দলের এই বিপর্যয়ের বিভ্রান্ত হবেন না। মমতার নেতৃত্বে দল ঘুরে দাঁড়াবে। আপনারা আরও বেশি জনসংযোগ যাত্রা শুরু করুন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজে নামুন। ঝগড়ঝাটি করার সময় নয়।
অন্যদিকে, মমতা ৫ জুলাই ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনার জন্য তৃণমূল ভবনে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ১১ জুলাই তিনি দলের বিধায়কদের সঙ্গে এই ভবনেই বৈঠক ডেকেছেন। তবে দেখা যাচ্ছে, এই জনজাগরণ যাত্রার দলে মহিলা বক্তার অভাব রয়েছে। কলকাতার সব পুরসভাতেই এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। মহিলাদের আরও দলে শামিল করতে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন।