মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় সকলেই সমান৷ আইন, নিয়ম সকলের জন্যেই এক৷ যে নিয়ম ভাঙবে তাঁর বিরুদ্ধেই নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ৷ এবার নিয়ম জারি হল পুলিশদের জন্যেও৷ পুলিশরা নিয়ম ভেঙে গাড়ি চালালে তাঁদেরও শাস্তি হবে৷
সার্জেন্ট থেকে শুরু করে ট্রাফিকের যে কোনও পুলিশ কর্মী আইন ভেঙে যদি গাড়ি চালান, তাহলে এবার থেকে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। একইসঙ্গে রাতের শহরে হেলমেটহীন বেপরোয়া মোটরবাইক বিরোধী যে বিশেষ অভিযান চলছে, তা আরও ভালভাবে চালিয়ে যেতে বললেন তিনি।
অনুজ আরও জানালেন, কোনও ঘটনার এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে৷ এক্ষেত্রে এলাকা দেখা বা এলাকার বিভাজন করা যাবে না৷ শহরের সমস্ত থানার ওসিকে কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উষসী কাণ্ডের জেরে শহরের সমস্ত ডিভিশনের ডিসিদের লালবাজারে ডেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। সেই বৈঠকে তিনি কড়া নির্দেশে জানিয়েছিলেন, এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে অন্য এলাকা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। ঘটনা ঘটলেই সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিসিদের কাছে দেওয়া এই নির্দেশ এবার ওসিদের কাছেও পৌঁছে দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
শনিবার শহরের সমস্ত থানা ও ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের ডেকে ‘ক্রাইম মিটিং’ করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন লালবাজারের সমস্ত আইপিএস কর্তাও। মিটিংয়ের শুরুতেই পুলিশ কমিশনার রাতের শহরে হেলমেটহীন মোটরবাইক-বিরোধী যে পুলিশি অভিযান চলছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই অভিযান আরও ভালভাবে চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এরপর পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশে জানান, “সাধারণত দেখা যায় ট্রাফিকের সার্জেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও আইন না মেনে মোটরবাইক চালিয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। এইরকম ঘটনা যেন শহরে না ঘটে। আইন ভাঙলে ওই সমস্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।”
এদিনের এই ‘ক্রাইম মিটিং’-এ উপস্থিত ছিলেন শহরের সমস্ত থানার ওসিও। তাঁদের নির্দেশ দিয়ে পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, “বড় ধরনের যে কোনও ঘটনা ঘটলে, তখন আর অন্য এলাকা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন না। মনে রাখবেন শহরজুড়ে ‘এসওপি’ জারি করা হয়েছে। বড় ধরনের ঘটনা ঘটলে যে কোনও থানায় এফআইআর নিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ট্রাফিকের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করুন। অন্য এলাকার ঘটনা বলে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগ উঠলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”