ব্যাটে সেঞ্চুরি আসুক বা বলে উইকেট, সাফল্য পাওয়ার পর প্রত্যেকটা প্লেয়ারই নিজেদের ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে সেলিব্রেশন করে থাকেন। কিন্তু বিশ্বকাপের শুরু থেকেই লক্ষ্য করা গেছে, উইকেট পাওয়ার পর একদম অন্যরকম সেলিব্রেশন করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শেলডন কটরেল। যা রীতিমতো নজর কেড়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, উইকেট পেলেই অদ্ভুত রকম অঙ্গভঙ্গি করে কয়েক পদক্ষেপ এগিয়ে যান কটরেল। তারপরই সেনার কায়দায় স্যালুট ঠুকে দেন সতীর্থদের উদ্দ্যেশ্যে।
ক্যারিবিয়ান পেসারের এই সেলিব্রেশনের জন্য অনেকেই তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন রসিকতা করে কটরেল কে সেই সেলিব্রেশন নকল করেন মহম্মদ শামিও। কিন্তু, শামি হয়তো জানতেন না কটরেল নেহাতই আনন্দ পাওয়ার জন্য ওই সেলিব্রেশনটি করেন না। তাঁর ওইভাবে স্যালুট করার আসল কারণ হলো, তিনি জামাইকার সেনাবাহিনীকে শ্রদ্ধা জানাতে এইধরণের সেলিব্রেশন করেন।
সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কটরেল নিজেই জানান, তিনি যে স্যালুটটি করেন সেটি আসলে সেনার অভ্যর্থনা দেওয়ার একটা ধরন। কটরেল জানান, তিনি নিজেই জামাইকার সেনার একজন কর্মী। সেনার হয়ে কাজ করাই তাঁর আসল পেশা। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা মিলিটারির ধরনের স্যালুট। আমি পেশাগতভাবে একজন সৈনিক। আমার এই স্যালুট করাটা শুধুই জামাইকার সেনাবাহিনীর প্রতি সম্মান জানানোর জন্য। যখনই আমি উইকেট পাই, তখনই এটা করি। আমাকে প্রায় ৬ মাস ধরে এই স্যালুটটি অনুশীলন করতে হয়েছে, যখন আমি সেনাতে ছিলাম।”
উল্লেখ্য, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে যখন ক্যারিবিয়ানদের হার প্রায় নিশ্চিত তখনই কটরেলকে কটাক্ষ করতে তাঁর সেলিব্রেশনের সেই স্টাইলটি নকল করেন মহম্মদ শামি। যা নিয়ে নেটদুনিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেই এই কটাক্ষ মেনে নিতে পারেননি। আবার অনেকেই এই বিষয়টা হাসির সুরেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে শামির সেই সেলিব্রেশন কটাক্ষের জবাব নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার কটরেল। টুইটারে তিনি হিন্দিতে লিখেছেন, “নকল কর না হি সবসে বড়ি চাপলুসি হ্যায়।” যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নকল করাটাই সবথেকে বড় তাবেদারি।” অর্থাৎ, তিনি যে শামির এহেন মজাকে ভালো চোখে দেখেননি তা পরিষ্কার। তাই শামিকেই ঘুরিয়ে তাবেদার বলে দিলেন কটরেল।