আজ ৩০শে জুন, ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ বা মহান সঁওতাল ‘হুল’ দিবস। প্রচলিত ইতিহাস চর্চায় অধিপতিশীল জ্ঞানকাঠামো এ বিদ্রোহের প্রাপ্য স্বীকৃতি না দিলেও ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি বিশেষ এবং উজ্জ্বলতম দিন এটি। আজ এই বিশেষ দিনে সাঁওতাল বিদ্রোহের দুই নায়ক তথা দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া ভারত মাতার দুই বীর সন্তান সিধু ও কানুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুকে হুল দিবসে জানাই প্রণাম।’
প্রসঙ্গত, সাঁওতাল বিদ্রোহ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম সংঘটিত প্রতিবাদ। এটিই ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিলো বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা বীরগতি প্রাপ্ত হন। সাঁওতাল বিদ্রোহের তীব্রতা ও ভয়াবহতায় ইংরেজ শাসনের ভীত কেঁপে উঠেছিল। লর্ড ডালহৌসি কতৃক মার্শাল ল’ জারি করেও এ বিদ্রোহ দমন করা যায়নি।